কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
অসম লাগোয়া বারোবিশা, কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পদ্মফুলের চাষ হয়েছে এখানে। চা-বাগান শ্রমিক মহল্লার আদিবাসী আর বাঙালি হিন্দু অধ্যুষিত এই এলাকাকে সভাস্থল হিসেবে নির্বাচন করা ইস্তক বেশ চিন্তায় ছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বেলা পৌনে ২টো নাগাদ বারোবিশার আকাশে যখন মমতার চপার, উপচে পড়া মাঠ আর লাগোয়া ৩১ সি, জাতীয় সড়কের ঠাসা ভিড় থেকে নাগাড়ে চলল উলুধ্বনি, জয়ধ্বনি। হাত নেড়ে করতালি দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে স্বাগত জানাল সভাস্থল। এবার চওড়া হাসি দলের পর্যবেক্ষক রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, জেলা সভাপতি মোহন শর্মা আর প্রার্থী দশরথ তিরকের মুখে। জনতা শুনতে চাইছেন মমতার কথা। জোড়াফুলের লোগো লাগানো মাইক্রোফোন হাতে স্থানীয় সাদ্রী ভাষায় ভাষণ শুরু করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জনতার উল্লাসে কানপাতা দায়! ‘বিজেপির কথা শুনে ভুল রাস্তায় যাবেন না। ভোটের সময় টাকার বস্তা নিয়ে এসে ওরা বড় বড় কথা বলে। ওরা একদিন থাকবে। বছরের বাকি দিনগুলিতে আপনাদের সুখ-দুঃখে থাকে তৃণমূল, মা-মাটি-মানুষের সরকার।’ প্রত্যয়ী মমতার সংযোজন—‘বদলে দিন , বদলে দিন। এবার সবাইকে নিয়ে দিল্লিতে সরকার গড়বে তৃণমূল।’ কালচিনির সভায় এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য—‘দিল্লির সরকার গড়ায় এবার বড়সড় ভূমিকা থাকবে জোড়াফুলের। এ তো আপনাদেরই গর্ব।’ এবার মমতার নিশানায় গেরুয়া শিবিরের ‘স্টার ক্যাম্পেনার’ নরেন্দ্র মোদি। কটাক্ষবাণে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার, বিদ্বেষ ছড়ানোর সরকার। গায়ের জোরে মিথ্যা কথা বলে চলেছেন মোদিবাবু। দেশের সাধারণের টাকা লুট করে ওরা (বিজেপি) বিলি করছে। টাকার জন্য নিজেকে আর নিজের সম্মান বিক্রি করবেন না। মোদিবাবু ক্ষমতায় ফিরলে, হারাতে হবে স্বাধীনতা, সংবিধান আর গণতন্ত্র। তাই নতুন দিন আসতে দিন, দিল্লিতে বদলে দিন।’