কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এই বিশেষ কমিটির নাম ইন্টারনাল কমপ্লেন কমিটি বা আইসিসি। কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি, নির্যাতন বা এই জাতীয় অভিযোগ রুখতে এই কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ‘প্রিভেনশন অব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট অ্যাট ওয়ার্কপ্লেস ২০১৩’ শীর্ষক এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় আইন রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী কমিটিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন রাজ্যের অন্যতম দুই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা। তাহলে কি এতদিন কোনও সরকারি হাসপাতালে এর কোনও ন্যায়বিচার হতো না, কোনও কমিটিই ছিল না? এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, তেমন কেন হবে? কমিটি ছিল। নয়া নির্দেশের পর নতুনভাবে আরও শক্তপোক্ত কমিটি হবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের ওই চিঠিতে যৌন হয়রানি রুখতে সেই আইন মেনে কীভাবে কর্মী এবং আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে, সে বিষয়েও নথিপত্র পাঠানো হয়েছে। সেগুলিও জানানো হয়েছে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালকে।
সূত্রের খবর, অন্যান্য দপ্তরের মতোই স্বাস্থ্য দপ্তরের আওতাধীন বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন সময় যৌন নিগ্রহ, হয়রানি, কুরুচিকর ও অশ্লীল কথা, অশ্লীল গল্প বা মেসেজ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যভবন একাধিকবার তোলপাড় হয়েছে এ সংক্রান্ত নানা অভিযোগে। দপ্তরের বিভিন্ন পদস্থ আধিকারিকের নামও জড়িয়েছে। বছর কয়েক আগে এ সংক্রান্ত কোনও কমিটি ছিল না হেড কোয়াটার্সে। সংবাদমাধ্যমে লেখালিখির পর কমিটি হয়। বলার জায়গা তৈরি হওয়ায় একের পর এক অভিযোগও জমা পড়তে থাকে। অভিযুক্তদের তালিকায় রাজ্য এইডস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সমিতির একাধিক কর্তা, পরিবহণ শাখার কর্তা সহ একাধিক নাম ছিল।