কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিট ও সন্ধ্যা ৭টা ৫৪ মিনিটে আলিপুরে যথাক্রমে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার ও ৮১ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো দমকা হাওয়া এক মিনিট স্থায়ী ছিল। এটা কালবৈশাখীর ঝড় ছিল। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৯৯ কিলোমিটার পর্যন্তও উঠেছিল। তবে তার স্থায়িত্ব কম হওয়ার জন্য এটি আবহাওয়াগত বিচারে কালবৈশাখীর তকমা পায়নি। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি হলে ও স্থায়িত্ব এক মিনিটের বেশি হলে আবহাওয়াগত বিচারে সেটিকে কালবৈশাখী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কলকাতায় সাম্প্রতিক অতীতে ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগের কালবৈশাখী হয়েছে। গত বছরও এই ধরনের একটি কালবৈশাখীতে কলকাতা ও বিভিন্ন জেলায় ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হয়েছিল। এবারও মার্চ মাসে শহরে জোরালো কালবৈশাখী হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। কারণ বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প গত কয়েকদিন ধরেই ঢুকতে শুরু করেছে। শুক্রবার তা আরও বাড়বে বলেই জানিয়েছিল তারা। বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে কালবৈশাখী হওয়ার জন্য নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা হওয়া দরকার। সেটাও শুক্রবার তৈরি হয়ে যাবে বলে আবহাওয়া দপ্তর আগেই জানিয়েছিল। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার উপর শুক্রবার একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে কালবৈশাখীর ঝড়-বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হতে থাকে। আবহাওয়া দপ্তর দুপুর থেকে দফায় দফায় বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, নদীয়া, মালদহ, হুগলি, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও কলকাতায় বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির নির্দিষ্ট পূর্বাভাস জারি করতে থাকে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে দুপুরের পর থেকেই ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হয় সন্ধ্যার পর। তবে কালবৈশাখীর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী খুব বেশি সময় তা স্থায়ী হয়নি। সারাদিন ধরে ভ্যাপসা গরমে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, ঝড়-বৃষ্টির পর তাপামাত্রা কমায় তাতে সাময়িক স্বস্তি মেলে।