কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। উপার্জন ভাগ্য ভালো। কর্মে উন্নতির যোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা মিলবে। ব্যবসা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে সচিব রাকেশ কুমার রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয়কুমার দে’কে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, বদলি করা হয়েছে কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিস কমিশনার যথাক্রমে অনুজ শর্মা ও জ্ঞানবন্ত সিং এবং বীরভূমের এসপি শ্যাম সিং এবং ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার এসপি এস সেলভাম মুরুগনকে। বদলির এই নির্দেশে রাতেই ঘনিষ্ঠ মহলে উষ্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশেই মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা পত্রাঘাত করেছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কমিশনের নির্দেশ সম্বলিত চিঠি এবং তার জবাবে মমতার পাল্টা পত্রাঘাতের মাঝেই এদিন কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিস কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন যথাক্রমে রাজেশ কুমার এবং নটরাজন রমেশবাবু। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, আজ, রবিবার সকালে কোচবিহারে নির্বাচনী প্রচার সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কয়েক কিলোমিটার দূরে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে নির্বাচনী সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমোও। পুলিস আধিকারিকদের বদলির প্রসঙ্গটি পরস্পরবিরোধী রাজনীতির দুই কর্ণধারের বক্তৃতায় ঠাঁই পায় কি না, সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে রাজনৈতিক মহল।
দু’পাতার চিঠির শুরুতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাঁর সর্বোচ্চ সম্মান জ্ঞাপন করে মমতা লিখেছেন—অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, চার সিনিয়র পুলিস অফিসারের বদলির নির্দেশের প্রতিবাদে আমাকে চিঠি লিখতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, কমিশনের এই নির্দেশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতমূলক। কমিশনের এই নির্দেশ যে বকলমে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকেই সাহায্য করছে, এরকম বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কয়েকদিন আগে সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেতাদের বক্তব্য ছিল, রাজ্যের কয়েকজন সিনিয়র পুলিস অফিসারকে সরিয়ে দেবে নির্বাচন কমিশন। গতকালই প্রধানমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী একটি টিভি শো’তে বলেছিলেন, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা খারাপ, তাই সাতদফায় ভোট করার নির্দেশ হয়েছে। এরপরই বদলি সংক্রান্ত কমিশনের ওই নির্দেশ এসেছে।
চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর উষ্মা, এইসব ঘটনাক্রমই সন্দেহকে আরও দৃঢ় করছে। তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচন কমিশন কি সংবিধানের বাধ্যবাধকতা মেনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাইছে, নাকি কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপিকে খুশি করতে তারা কাজ করছে? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, কলকাতা ও বিধাননগর নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষের বসবাসের মিশ্র এলাকা। যে পুলিস অফিসাররা ছিলেন, তাঁরা এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এহেন আধিকারিকদের অপসারণ বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন রেখেছে। এই সিদ্ধান্ত কি কায়েমি স্বার্থবাহী রাজনৈতিক দল এবং তাদের রাজনৈতিক গুরুদের আড়াল করার জন্য?
মমতা লিখেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, বদলির জন্য সম যোগ্যতাসম্পন্ন পুলিস আধিকারিকদের নামের একটি প্যানেল চাওয়া হয় রাজ্যের কাছে। তা কিন্তু তা চাওয়া হয়নি। এতেই কমিশনের অগণতান্ত্রিক ও পক্ষপাতমূলক আচরণ সামনে এসেছে।