কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
মৃৎশিল্পী সংগঠনের কর্মকর্তা বাবু পাল বলেন, ‘হাতে এখনও কয়েকটি দিন আছে। শেষ মুহূর্তে আরও পাঁচ‑সাতটি প্রতিমার বায়না আসলেও আসতে পারে।’ কুমোরটুলি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে যে সমস্ত প্রতিমার বায়না হয় তা কলকাতা ছাড়াও আশপাশের জেলাগুলিতেও যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে বায়না বাড়ছে। মঙ্গলবার কুমোরটুলি স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণি, বনমালী সরকার স্ট্রিট সহ পটুয়া পাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গিয়েছে, জোরকদমে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। কোথাও মূর্তির গায়ে মাটির প্রলেপের ওপর রঙের পোঁচ পড়ছে। কোথাও মাটির শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। মৃৎশিল্পী সমর পাল বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও কলকাতায় এই সংখ্যায় জগদ্ধাত্রী পুজো হতো না। এখন সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।’ শিল্পী চায়না পালের কথায়, ‘চন্দননগর, রিষড়া, নদীয়ার মতো এখন কলকাতাতেও বহু জায়গায় চারদিন ধরে পুজো হয়। আমরা চেষ্টা করি, উদোক্তাদের দাবি মেনে নির্দিষ্ট সময় প্রতিমা ডেলিভারি করতে।’ শিল্পী জবা পাল স্টুডিওতে বসে এদিন মূর্তি তৈরি করছিলেন। তিনটি প্রতিমার গায়ে কাপড় জড়ানোর কাজ চলছে। দু’টি প্রতিমার চক্ষুদানপর্ব শুরু হয়েছে। শিল্পী বলেন, ‘এবার বড় আকারের প্রতিমার সঙ্গে তিনটি মাঝারি প্রতিমারও বায়না পেয়েছি।’ শিল্পী শম্ভু পাল বলেন, ‘প্রতিমার সাবেক সাজ সঙ্গে চারটি ডাকের সাজের বায়না এবার পাওয়া গিয়েছে।’ কুমোরটুলির আশপাশের দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে শোলার কারুকাজ করা মূর্তির অঙ্গসজ্জা। বিক্রি হচ্ছে নানা রঙের ঢাউস মালা। কুমোরটুলির চারধারে আলো করে বসে রয়েছেন সিংহবাহিনী জগদ্ধাত্রী। কয়েকদিনের মধ্যে প্যান্ডেলের দিকে পা বাড়াবেন। উৎসবে মাতবে মানুষ।