একাধিক সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। উপস্থিত বুদ্ধি ও যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণে কর্মে বাধামুক্তি ও উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে টালিগঞ্জ থানা এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। মালকিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন বাড়িতে তালা দিয়ে। তাঁর স্বামী সকালেই অফিসে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মিনিট কুড়ি পর বাড়ি ফিরে দরজার তালা খুলে ঘরে ঢুকতেই তাঁর চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। দেখেন, ভাঙা হয়েছে আলমারি সহ বিভিন্ন সামগ্রী। সেখানে থাকা সোনার অলঙ্কারের একটিও নেই। খোয়া গিয়েছে নগদ কিছু টাকা, হীরের আংটি, দু’টি মোবাইল, কার্ড রিডার সহ বিভিন্ন সামগ্রী। এত অল্প সময়ে কী করে এই ঘটনা ঘটল, তাই নিয়ে রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যান তিনি। অভিযোগ করেন টালিগঞ্জ থানায়।
অফিসাররা ওই বাড়িতে গিয়ে সমস্ত ঘর পরীক্ষা করেন। তালা ভাঙার স্টাইল দেখে বুঝে যান, এর পিছনে রয়েছে গামছা গ্যাং। তদন্তে উঠে আসে, ভিতরে ঢুকে তারা একের পর তালা ভেঙেছে। পিছনের দিকের গ্রিল কেটে দোতলায় উঠেছে। এরপর নেমে এসেছে নীচে। সিসিটিভির সাহায্য নেওয়া হলেও বিশেষ কিছু মেলেনি। সেখানে কয়েকজনকে ঢুকতে দেখা যায়। তাদের মুখ স্পষ্ট আসেনি। সোর্স কাজে লাগিয়ে জানা যায়, কয়েকদিন ওই এলাকায় তিন-চারজন ঘুরে বেড়াচ্ছিল। রেকি করছিল এলাকা। রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি দেখে একজনকে চিহ্নিত করা হয়। জানা যায়, এদের একজনের বাড়ি ঢাকুরিয়া রেল লাইনের কাছে। সেখানে হানা দিয়ে তাকে ধরা হয়। অভিযুক্তকে জেরা করতেই জানা যায়, তার সঙ্গে ছিল আরও দু’জন। মাত্র দশ মিনিটে তারা এই কাজ করে বেরিয়ে গিয়েছে। বাকিদের ধরা হয়। উদ্ধার হয়েছে সোনার অলঙ্কারগুলি।
তদন্তে উঠে আসছে, এই গ্যাংটি রবীন্দ্র সরোবর, টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট, চারু মার্কেট এলাকায় সক্রিয়। দিনে বিভিন্ন জায়গা রেকি করে দেখে নেয়, কোন বাড়িতে তালা ঝুলছে। সেইমতো শাবলের মতো যন্ত্র নিয়ে হানা দেয় টার্গেটে। এরপর তালা ভেঙে সাফ করে জিনিসপত্র। তারা সব কাজই করে দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে তিনটের মধ্যে। একটি কাজে সময় লাগে মাত্র দশ থেকে পনেরো মিনিট। জিনিস হাতিয়ে রওনা দেয় পরের গন্তব্যে।