কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
কর্মীদের অনেকের মতে, প্রার্থীর পাঁচটি ঘাটতি সহজেই চোখে পড়ছে। ভোটের আগে ওই ঘাটতি পূরণ করতে না পারলে চাপ বাড়বে প্রসূনেরই। সেক্ষেত্রে তাঁর জয়ের ব্যবধান গতবারের তুলনায় কমতে পারে। এক্ষেত্রে তাঁকে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে পারে একমাত্র সংগঠনই। কী সেই পাঁচ ঘাটতি? কর্মীদের মতে, প্রথমত, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। অর্থাৎ ভোটে জিততে কোন বুথের কোন কর্মীকে ব্যবহার করতে হবে, তা তিনি জানেন না। সেইসঙ্গে রয়েছে কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, তিনবার সাংসদ হলেও নিজের কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্য ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। এমপি ল্যাডের টাকা খরচ নিয়ে তিনি তথ্য-পরিসংখ্যান তুলে ধরলেও, হাওড়া কেন্দ্রে এমন বহু সমস্যা আছে, যা নিয়ে তিনি একবারও সংসদে কথা তোলেননি। তৃতীয়ত, ভোট বৈতরণী পার করতে তাঁর একমাত্র ভরসা সংগঠন। সাংগঠনিক বুনিয়াদই পারে তাঁর জয়কে নিশ্চিত করতে। চতুর্থত, নিজের কেন্দ্র নিয়ে প্রার্থীর নির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব। সিপিএম প্রার্থী যেখানে হাওড়া শিল্পাঞ্চল পুনরুদ্ধার ও জরি এবং বস্ত্রের মতো এলাকাভিত্তিক শিল্পের উন্নয়নের কথা বলছেন, সেখানে বিজেপি প্রার্থীর মুখে ধুলোগড় ও বালিখাল অবধি মেট্রো সম্প্রসারণের দাবি শোনা যাচ্ছে। অথচ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এমন কোনও লক্ষ্যের কথা শোনা যায়নি, যা ভোটদাতাদের মনে দাগ কাটতে পারে। তাঁর মৌন প্রচার নিয়ে চিন্তায় কর্মীদের একাংশ। পঞ্চমত, জনমতকে প্রভাবিত করতে গেলে দরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে তথ্যসমৃদ্ধ চাঁছাছোলা ভাষণ, যার অভাব রয়েছে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কর্মীদের মতে, তাঁর এই খামতিকে ঢাকতে হবে দলীয় নেতৃত্বকেই। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তুরুপের তাস করেছে তৃণমূল। পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন সরকারি অনুদান প্রকল্প। সার্বিক উন্নয়নের চিত্রকেই এক্ষেত্রে হাতিয়ার করে প্রসূনকে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছেন তাঁর ভোট কুশলী রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ পায়।