ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
একুশের এর বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ছিল তৃণমূলের জয়জয়কার। কিন্তু, বনগাঁ মহকুমার চারটি বিধানসভায় পদ্মফুল ভোটে। সে বারেও নির্বাচনে বিজেপির ‘তাস’ ছিল সিএএ। গত পুরসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের একাধিপত্য ছিল। বনগাঁ লোকসভাটি মতুয়া অধ্যুষিত। সে ক্ষেত্রে এই কেন্দ্রে জয় পরাজয়ে মতুয়া, নমঃশূদ্র ভোট বড় ফ্যাক্টর। তাই ভোট আসলেই বিজেপি নাগরিকত্বের ‘টোপ’ নিয়ে হাজির হয়ে যায়! কিন্তু ভোট মিটলেই উধাও হয়ে যায় সেই প্রতিশ্রুতির ফানুস। এবারও লোকসভা ভোটে একই কায়দায় মতুয়া মন পেতে চাইছে গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় ভোটপ্রচারে এই ইস্যু মানুষের কাছে উত্থাপন করছে তারা। কিন্তু কেউ সিএএ’তে আবেদন করেছে কি না, তা বিজেপির ছোট থেকে মাঝারি কোনও নেতাই স্পষ্টভাবে বলতে পারেননি। তাছাড়া সিএএ নিয়ে মোদি-সরকারের ঘোষণার পরের দিন হাবড়ায় এসে মতুয়াদের উদ্যেশ্যে বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, সিএএ’তে আবেদন করলেই আপনি ‘বিদেশি’ বলে প্রমাণিত হবেন। সিএএ’তে আবেদনের কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর হুঙ্কার ছিল, আমি যতদিন বাঁচব, বাংলায় সিএএ করতে দেব না। এরপর কিছুটা হলেও মতুয়াদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। প্রায় একমাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও কেউ সিএএ-তে আবেদন করেছেন কি না, তা নিয়ে বিভিন্নমহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের আবহে বুধবার দুপুরে বারাসতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। নাগরিকত্ব প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি বলেন, কোনও আইন লাগু হলে প্রথমের দিকে জটিলতা থাকে। পরে তা সহজ হয়ে যায়। তবে, মতুয়ারা নাগরিকত্ব নিয়ে অনেকটাই উৎসাহী। আমি একজন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ হয়ে সেটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছি। আর এটা স্পষ্ট, মানুষ বিজেপির সঙ্গেই আছেন। তারপর তাঁর কাছে জানতে চাওগা হয়, আপনি মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ, সিএএ’তে আবেদন করেছেন? এই প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, প্রয়োজন হলে আবেদন করব। বিজেপির অনেক নেতা-নেত্রী এখনও আবেদন করেননি। এখনও সরকারিভাবে আবেদন তো শূণ্য। তাহলে? প্রশ্নের উত্তর কার্যত সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন স্বপনবাবু। এ নিয়ে পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, এবার বিজেপি সত্যিটা বুঝতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মেলাচ্ছে। আমরা বলছি, বিজেপি নেতাদের যদি সৎ সাহস থাকে, তাহলে ওঁরা নিজেরা আবেদন করে দেখান। আসলে সবটাই বিজেপির জুমলা। ভোট আসলেই ঝুলি থেকে ওঁরা বিড়াল বের করে।