পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরে বরানগরের ২৫, নিরঞ্জন সেন নগরের বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে শঙ্কর হালদার (৬৬),অভিজিৎ ওরফে বাপ্পা হালদার (৪৮) ও দেবার্পণ ওরফে বর্ণ হালদারের (১৪) মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। একতলায় শঙ্করবাবুদের পাশের ঘরে একজন ভাড়াটে ছাড়াও দোতলা ও তিনতলায় আরও ছয় পরিবার ভাড়ায় থাকত। একসঙ্গে তিনজনকে নৃশংসভাবে ছুরি মেরে খুনের ঘটনায় রহস্যজনকভাবে কোনও ভাড়াটে কোনও আওয়াজ পাননি বলে জানিয়েছেন। এই বয়ান তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়িয়েছে। মৃত অভিজিতের পেটের ক্ষতের পাশে শাড়ির পাড় বাঁধা ছিল। তাছাড়া, ঘরের ভিতরে থাকা সিসিটিভি প্যান্ট দিয়ে মোড়ার পাশাপাশি ডিভিআর না থাকাও রহস্য তীব্র করেছে। এদিন ওই ঘর থেকে তিনটে ফোন উদ্ধার হলেও অভিজিতের একটা ফোন এখনও উদ্ধার হয়নি।
এই সমস্ত উত্তর পাওয়ার আগে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরে তৃণমূল পার্টি অফিসে চিঠি উদ্ধারের ঘটনায় জটিলতা আরও বেড়েছে। পুলিস এদিন দুপুরে ১নং ওয়ার্ড যুব তৃণমূলের সভাপতি অশোককুমার বিশ্বাসের থেকে ওই চিঠি সংগ্রহ করেছে। সেই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘হালদার বাড়িতে তিনটে খুন করে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে। আমাকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমাকে ভয় দেখিয়ে বলছে, সিসিটিভিতে সব ছবি উঠেছে। পরে ওই ঘর বিক্রি হলে তখন টাকা দেবে। এক ভাড়াটের ফোন দ্রুত নিয়ে তদন্ত করতে হবে। আমরা অনেক দূরে চলে যাব।’
অশোকবাবু বলেন, রবিবার সকালে হালদার বাড়িতে ৩টি দেহ উদ্ধারের খবর পাই। সেখান থেকে পাশের পার্টি অফিসে সাইকেল রাখতে গিয়েছিলাম। তখন দরজার বাইরে একটি কাগজ পড়ে থাকতে দেখি। তাতে লেখা হালদার বাড়িতে তিনজন খুন হয়েছে। ওই চিঠির কথা কাউন্সিলার সহ বাকিদের জানিয়েছিলাম। সোমবার পুলিস ওই চিঠি নিয়ে গিয়েছে।