নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম দশম এবং একাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির প্রথম দিনই হাইকোর্টের তোপের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে কেন তাদের ভিন্ন অবস্থান তা জানতে চেয়ে কমিশনের কাছে সাত দিনের মধ্যে হলফনামা তলব করল বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতির সাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ৬ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গঠিত হয়। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। তাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কেন স্কুল সার্ভিস কমিশন একই ইস্যুতে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ভিন্ন অবস্থান নিচ্ছে? কীসের ভিত্তিতে এই ভিন্ন অবস্থান, তা এক সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে হলফনামা আকারে পেশ করতে হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন, কোন মিটিংয়ের মাধ্যমে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তারও বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে তাদের।
এদিনের শুনানিতে কমিশনের তরফ থেকে সওয়াল করা হয়, মূলত যাঁরা মামলাকারী, তাঁরাই প্রথমে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চাকরি না পেয়ে মামলা করেছেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের পরীক্ষাতেও বেনিয়ম রয়েছে। তার ভিত্তিতে বিচারপতি পাল্টা বলেন, ‘একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি আপনারাও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন?’ এছাড়াও বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘যদি সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়, তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা কেন এভাবে নষ্ট হবে?’