বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরেই এলাকার লোকজন লক্ষ্য করেন ভিনরাজ্যের লোকজন ওই হোটেলে এসে রয়েছেন। তাঁরা হিন্দিতে কথা বলছেন। বিভিন্ন সময়ে হোটেল থেকে বের হচ্ছেন। আবার ঢুকছেন। রবিবার এলাকার লোকজনই বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বকে জানায়। তারপরই শোরগোল ছড়ায়। রবিবার রাতে শহরের ওই হোটেলে পুলিস হানাও দিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যাতেও সেখানে পুলিস যায়। যদিও জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, আমরা রুটিনমাফিক হোটেলগুলিতে তল্লাশি করছি। ওই হোটেলেও গিয়েছিলাম। কারা এসে থাকছে, কী কারণে এসেছে, প্রভৃতি বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শংকর দাস বলেন, সপ্তম দফার নির্বাচনের জন্য আমাদের একের এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নানা জায়গায় সভা ও মিটিং করছেন। আগামী ১৫ তারিখ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও হাবড়ায় আসবেন। এই মিটিংগুলি পরিচালনা করার জন্য এবং সমন্বয় সাধন করার জন্য তাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন। মোট কতজন এসেছেন? তিনি বলেন, ২০ জনের মতো হবে। তাঁরা প্রত্যেকেই দায়িত্বপ্রাপ্ত আমাদের কার্যকর্তা। বারাসতে আগামী ১৯ মে নির্বাচন। আগামী ১৭ মে প্রচার শেষ। তারপর কোনও বাইরের লোকজন থাকতে পারবে না, এটাই নির্বাচন কমিশনের নিয়ম। কিন্তু, তৃণমূল পুলিস-প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁদেরকে হোটেল থেকে বের করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এই বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকেও জানাব।
বারাসত পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা জানতে পেরেছি, উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড থেকে বিজেপি ওদের নিয়ে এসেছে। প্রায় সাত-আটদিন ধরে রয়েছে। টাকা বিলি করারও চক্রান্ত করছে। তাই আমরা পুলিসকে বলেছি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য। যাতে শান্ত বারাসতকে বিজেপি কোনওভাবেই অশান্ত করতে না পারে।