বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর বেলঘরিয়া, নৈহাটি, শ্যামনগর এখন তাঁর অস্থায়ী ঠিকানা। রবিবার বেলঘরিয়ায় বিটি রোডের ধারে এক সহকর্মীর বাড়িতে ছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ তিনি ঘুমিয়েছেন। সোমবার বেলা ৯টা নাগাদ তিনি ঘুম থেকে ওঠেন। স্নান সেরে তিনি কিছুক্ষণ পুজোয় বসেন। সকালে বের হওয়ার আগে টিফিন বলতে ধোকলা আর একটা সিঙারা। এরপর সাদা প্যান্ট, হলুদ পাঞ্জাবি, গলায় লাল রংয়ের দোপাট্টা, হলুদ রংয়ের সানগ্লাস আর স্নিকার পরে তৈরি। ফরচুনা গাড়ির সামনের সিটে বসে ইছাপুর মেটাল ফ্যাক্টরির উদ্দেশে রওনা দিলেন। গাড়ির সঙ্গে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা অফিসার প্রদীপ আঢ্য সহ চারজন রয়েছেন। পিছনে পাঁচটি গাড়ির কনভয়। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় অবজার্ভারের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যান। দেখা না পেয়ে সোজা বারাকপুর মহকুমা শাসক আবুল কালাম আজাদ ইসলামের সঙ্গে তিনি দেখা করতে যান। সঙ্গে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট তপাদারও ছিলেন। ভোটের দিন অর্জুন সিংকে নির্বাচন কমিশন যাতে গৃহবন্দী করে তার লিখিত আর্জি জানান।
মদন বলেন, ভোট দেওয়ার পর অর্জুন সোজা বাড়ি চলে যাবেন। যদি বাইরে ঘোরাফেরা করে তাহলে ঘাটালে নির্বাচনের দিন ভারতী ঘোষের যা হয়েছে তার থেকেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ওই এলাকার মানুষই তা করবে। এরজন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে। বারাকপুর মহকুমা অফিস থেকে গাড়ি করে ভাটপাড়া যাওয়ার পথে অভিনেতা সোহম ফোন করেন। ফোনে কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পর মদনবাবু বলেন, ‘সোহম আমার হয়ে প্রচারে আসতে চাইছে।’ গাড়ি করে সোজা কাঁকিনাড়া বাজারের কাছে ধরমপাল গুপ্তা নামে দলীয় এক নেতার বাড়িতে যান। সেখানে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তিনি নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যামের দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে সাদা মিহি চালের ভাত, পেঁয়াজ দিয়ে চাপ চাপ মসুর ডাল, পটল ভাজা, আলু ভাজা, ভেন্ডি ভাজা, মৌরলা মাছ ভাজা আর দেশি ট্যাংরার ঝোল দিয়ে দুপুরের খাবার সারেন। ২৫ এপ্রিল থেকে ভবানীপুরের বাড়িতে তিনি পা রাখেননি। মোবাইলে ভিডিও কলিং করে নাতির সঙ্গে কিছুক্ষণ খুনসুটি করেন। এরমধ্যেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভাটপাড়ার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। জয়ের বিষয়ে মদন বলেন, এই এলাকার মানুষ মুক্তি চাইছে। জয়ের বিষয়ে আমি একশ শতাংশ নিশ্চিত।
দলীয় কর্মীর অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার সময় মাঝেমধ্যেই তাঁর মোবাইল ফোন বেজে উঠছে, উত্তরবঙ্গ থেকে একজন ফোনে বলছেন, দাদা পঞ্চায়েত থেকে আমাকে বাড়ি দিচ্ছে না। একটু বলে দেন। কেউ আবার বলছেন, পিজি হাসপাতালে একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। কেউ আবার, রক্ত পাচ্ছি না। একটু সাহায্য করবেন। অন্য ফোনের মাধ্যমে অকপটে সকলকে সাহায্য করে চলেছেন।
ঠান্ডিঘরে সামান্য কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। বারুইপাড়া দিয়ে পদযাত্রা যাওয়ার সময় একশ ছুঁই ছুঁই এক বৃদ্ধার পায়ে হাত দিয়ে মদনবাবু প্রণাম করেন। ওই বৃদ্ধা আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, তুমি জিতবে বাবা। পরে, আমাদের দেখো যেন। পদযাত্রা শেষ করে তিনি সন্ধ্যায় কাঁকিনাড়া স্টেশন, মোমিনপাড়া এবং সুনধিয়া হাউসিংয়ে পথসভা করেন।