বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এদিকে, আগুন লাগার খবর পেয়ে বিশরপাড়ার দে’পরিবারের আত্মীয়রা বিভিন্ন জায়গা থেকে সেখানে ছুটে আসেন। তাদের মধ্যেই একজন হল টালিগঞ্জের বাসিন্দা নাবালক দেবাংশু দাসও। সোমবার ভোররাত থেকেই বাড়ির অন্যদের সঙ্গে সেও বিশরপাড়াতেই ছিল। এদিন দুপুরে ওই পাড়ারই একটি পুকুরে কয়েকজন স্নান করতে নেমেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিসকে জানিয়েছেন, সেই সময় পুকুর পাড়ে বসেছিল দেবাংশু। আচমকাই সে জলে নেমে সাঁতার কাটতে শুরু করে। সেই সময় পুকুরে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, দেবাংশু হয়ত সাঁতার জানে। কিন্তু, মুহূর্তের মধ্যে সে তলিয়ে যায়। এরপরে দেবাংশুকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় এবং পরে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাকেও মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় বিশরপাড়ার নবজীবন কলোনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিসকে জানানো হয়েছে, দেবাংশু সাঁতার জানত না। তাহলে সে কেন পুকুরে নামল? তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যদিও পুলিস জানিয়েছে, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি দেবাংশু কেন পুকুরে নেমেছিল, সেবিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
এদিকে, বাড়িতে আগুন লাগা প্রসঙ্গে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত প্রায় আড়াইটের পর দিয়ে ওই বাড়ির একতলায় আচমকাই আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে দমকল জানিয়েছে, মিটার বক্সের কাছে কোনওভাবে শর্ট সার্কিট হয়েই বাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল। বাড়িতে ফটো ফ্রেম তৈরির ব্যবসা রয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ ছিল। সেই কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয়দের দাবি, আগুনের সময় দে পরিবারের চিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। অধীরবাবুর ছেলে-বউমা এবং তাঁদের সন্তানরা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। অধীরবাবুর বউমা আটমাসের এক কোলের সন্তানকে নিয়ে প্রাণে বাঁচতে ছাদ থেকে ঝাঁপ দেন। পুলিস জানিয়েছে, প্রতিবেশীরাই প্রাথমিকভাবে আগুন নিভিয়ে দেন। তাঁদের তৎপরতায় পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দেওয়া গিয়েছে। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত। পরে দমকলের দুটি ইঞ্জিন গিয়ে পুরো আগুন আয়ত্তে আনে। রীনাদেবী এবং দেবাংশু দাসের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।