বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
পরিস্থিতি এতটাই তপ্ত হয়ে ওঠে, যে বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। ঘটনার রেশ পড়ে নির্বাচন কমিশনেও। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা সহ বিজেপি নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন। নির্বাচন কমিশন জেলাশাসকের কাছ থেকে রিপোর্ট পেয়ে জানায়, যিনি জমির মালিক, তিনি প্রথমে অনুমতি দেন। পরে তা বাতিল করেন। যদিও শেষ মুহূর্তে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এদিনের এই ঘটনাটি ভালো চোখে দেখেননি ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দেন, এবার থেকে সভার অনুমতি দেওয়ার পর তা বাতিল করা যাবে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১২টার পরে বারুইপুরের মাদারহাট পঞ্চায়েতের আটঘড়া ক্রীড়া সংঘের মাঠে জেলা বিজেপির পূর্বের পক্ষ থেকে দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই সভা আগে রাস মাঠে হওয়া স্থির থাকলেও জমির মালিকের আপত্তিতে তা বাতিল হয়ে যায়। এরপরে বিজেপির পক্ষ থেকে আটঘড়া মাঠে সভার আয়োজন করা হয়। তিন বিঘা জমিতে হেলিপ্যাড তৈরি করে সভার আয়োজন করা হয়। যদিও আটঘড়া ক্রীড়া সংঘের সভাপতি প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হেলিপ্যাডের জন্য ক্লাবের থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
এরপরই পৌনে একটা নাগাদ যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা সহ জেলা বিজেপির নেতারা ঘোষণা করতে থাকেন, অমিত শাহ আসবেন। অনুমতি মিলেছে। সভাতে হাজির হয়ে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশোক টামটা, ত্রিপুরার নেতা সুনিল দেওধর সহ অন্যান্য নেতারা। দুপুর ১টা বাজলে শেষ মুহূর্তে ঘোষণা হয় সভার অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বারুইপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু, বারুইপুর এসডিপিও অভিষেক মজুমদার,আইসি সহ বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, শেষ মুহূর্তে অনুমতি আসায় আমরা বাহিনী নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সভা আর হয়নি।
এদিকে গোটা পরিস্থিতি ঘিরে যখন এলাকা তপ্ত হয়ে রয়েছে, তখনই দুপুর ১টা নাগাদ বারুইপুরের ব্লকের আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে অটোর মিছিল বারুইপুরের ফুলতলা ঘুরে সীতাকুণ্ডু হয়ে আটঘড়ার দিকে আসছিল। তখনই বিজেপি কর্মী-সমর্থক ও অটো চালকদের মধ্যে প্রথমে গালিগালাজ, পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের অটো ইউনিয়নের চালকদের অভিযোগ, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে আমাদের উপর হামলা করা হয়। অটো ভাঙচুর করা হয়। পতাকা মাইক খুলে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও বিজেপির কর্মীদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে সভা বানচাল করার জন্য সভার পাশে রাস্তা দিয়ে অটো চালকরা মিছিল করে। এমনকী সভায় আসা কর্মীদের মারধর করা হয়। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। বিজেপি প্রার্থী বলেন, সভা বানচাল করার জন্য পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়। আমাকে মারধর করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বারুইপুর জেলা পুলিস সুপারের অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করেন। বারুইপুর পুলিস জেলার এস পি রশিদ মুনির খানের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। বারুইপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শক্তি রায়চৌধুরী বলেন, ঘটনার নিন্দা জানাই। অটো চালকদের উপরে যারা হামলা করে তাদের ভোট চাইবার অধিকার নেই। বারুইপুরের আইএনটিটিইউসি সভাপতি বিভাস সর্দার বলেন, মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে আমাদের পূর্ব ঘোষণা মত মিছিল করেন অটো চালকরা। পূর্ব পরিকল্পিত হামলা চালানো হয় সভা থেকে। আমাদের ৪ টি অটো ভাঙচুর করা হয়। আমরা বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।