কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। তারপরই বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় আর্থিক নয়ছয় নিয়ে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। নির্বাচনের সময় খালি চেকে সই করিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগও তিনি তোলেন। জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নির্বাচনের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠায় বিব্রত পদ্ম শিবির। তেহট্টের বাসিন্দা লালমোহনবাবু বিজেপির কিষান মোর্চার প্রাক্তন সহ-সভাপতি। কয়েকদিন আগে লালমোহনবাবু সহ কয়েকজন নেতা কৃষ্ণনগরের জেলা পার্টি অফিসে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে মহিলা কর্মীরাও ছিলেন। নির্বাচনের টাকা নয়ছয়ের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা জানার জন্য পার্টি অফিসে যান। তখন দলের জেলা সভাপতি পার্টি অফিসে ছিলেন না। জেলার সম্পাদক তারক চট্টোপাধ্যায় পার্টি অফিসে উপস্থিত ছিলেন। তারকবাবু জেলা সভাপতিকে ফোন করে আদি নেতাদের পার্টি অফিসে আসার বিষয়টি জানান। অভিযোগ, তখনই জেলা সভাপতি ফোনে লালমোহনবাবু ও বাকি নেতাদের গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলার নিদান দেন। তারপরই কার্যালয়ে উপস্থিত জেলা নেতৃত্ব আদি নেতাকর্মীদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। লাঠি, লোহার রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তেড়ে গেলে আদি নেতাকর্মীরা কার্যালয় ছাড়েন। মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এনিয়ে লালমোহনবাবু লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লালমোহনবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, রানিমা মুখ খুলে ছিলেন। এই টাকা নয়ছয়ের কারণটা কী সেটাই আমরা জানতে চেয়েছিলাম। তখন আমাদের জেলা সভাপতি ফোনে পার্টি অফিসে উপস্থিত নেতাদের জানান, যত লোক লাগবে উনি পাঠাবেন। আমাদের গুলি করার নির্দেশ দেন। তাই আমি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অর্জুন বিশ্বাস ক্ষমতায় থাকলে গোটা দলটাকে বিক্রি করে দেবেন। বিজেপি বলে আর কিছু থাকবে না। দলের এই পরাজয়ের জন্য দায়ী জেলা সভাপতি। বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুনবাবু বলেন, ‘এতদিন পর তাঁর মনে পড়েছে এনিয়ে কেস করতে হবে। আমার মনে হয়, মিথ্যা মামলা করানো হচ্ছে। কে কোথায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছে, তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। বিজেপির অনেকেই ছদ্মবেশে থাকে।’আদি নেতা কর্মীদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় বিজেপি নেতা জেলার সহ সভাপতি সুকমল চাকি ও তারকবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে।