কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কাঁথি লোকসভা আসনে জেতার পর ইটাবেড়িয়া পঞ্চায়েতজুড়ে বিজেপির উৎসব চলছে। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন বুথে বিজয় মিছিল বের করা হচ্ছে। রাতে বসছে পিকনিকের আসর। ২০২৩সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। শুক্রবার দক্ষিণ শুকমারি গ্রামে বিজয় মিছিল করে বিজেপি। সেই মিছিল থেকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়। অ্যাসবেসটসের ছাউনি ভেঙে দেওয়া হয়। লাগোয়া কোটমুখা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সম্পাদকের উপর হামলা চালায় বিজেপির লোকজন। তাঁর স্ত্রী শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ। বাবা-মাকে বাঁচাতে এসে ধর্ষণের হুমকি পান তাঁদের মেয়ে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এদিকে, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ভূপতিনগর থানার অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ধাঁইপুকুরিয়ায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বিশাল বাহিনী নিয়ে রওনা দেন। আধা সেনা নামানো হয়। গত ১৮জুন রাতে ধাঁইপুকুরিয়া গ্রামে বিজেপির যুব নেতা শশাঙ্ক মাইতির বাবা গৌরহরি মাইতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তৃণমূল লোকজন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ায় গৌরহরিবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী ৩০জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। সেই তালিকায় ৮নম্বরে ধাঁইপুকুরিয়ার তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ মাইতির নাম আছে।
তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিতের দাবি, তিনি নির্দোষ। তাঁকে খুনের মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিন ওই গ্রামের বিজেপি কর্মী অমিত মণ্ডলের কাছ থেকে এনিয়ে জবাবদিহি চান। সেই সময় দু’জনের মধ্যে চিৎকার চেঁচামেচি হয়। তখনই বিজেপির লোকজন জড়ো হয়ে বিশ্বজিৎকে ধরে রাখে। খবর পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মীরা জড়ো হন। তাঁরা বিজেপি কর্মীদের হাত থেকে বিশ্বজিৎকে ছাড়িয়ে নিজেদের পার্টি অফিসে নিয়ে যান। এরপরই দু’পক্ষের জমায়েত থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার পুলিস আধা সেনা নিয়ে ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় কাঁথির এসডিপিও ও ভূপতিনগর থানার ওসি এলাকায় রুটমার্চ করেন।
ইটাবেড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কালীপদ বর্মন বলেন, বিজয় মিছিল থেকে আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করে বিজেপি। তারপর কোটামুখা বুথে আমাদের স্থানীয় এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করে বিজেপির লোকজন। তাঁর স্ত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছে।
ভগবানপুরের বিধায়ক বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, শাসক দল ও পুলিসের গোপন বোঝাপড়ার শিকার হচ্ছেন আমাদের কর্মীরা। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে।