কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিন সকালে নাকপুরের বাসিন্দাদের কয়েকজন কৃষিকাজের জন্য মাঠে যাচ্ছিলেন। তাঁরাই প্রথম দেহ দু’টি দেখতে পান। খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমান। ওই মহিলা লাল রঙের চুড়িদারের পাশাপাশি বোরখা পরেছিলেন। শিশুর পরনে ছিল জিন্সের হাফপ্যান্ট ও সাদা জামা। স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল শেখ বলেন, মৃতদেহ দু’টির শরীরে রক্ত শুকিয়ে গিয়েছিল। পুলিসের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে রাতের অন্ধকারে গাড়িতে চাপিয়ে এখানে এনে জমিতে ফেলে দিয়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, বছর ছয়েক আগে রীনার সঙ্গে প্রথম পক্ষের স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার জুরানকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মহারাজ শেখের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বছর খানেক আগে মনোমালিন্যের জেরে স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যান মহারাজ। নাজিকুল ওই মহিলার প্রথম পক্ষের ছেলে। সেই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন রীনা। এদিন দুপুরে সোশাল মিডিয়ায় রীনা ও তাঁর ছেলের মৃতদেহের ছবি দেখে চিনতে পারেন পাঁচগ্রামের বাসিন্দারা। এরপরই পরিবারের কাছে খবর পৌঁছয়। মৃতার পরিবারের কয়েকজন নলহাটি থানায় আসেন। মৃতার মামা কইমুদ্দিন শেখ বলেন, কিছুদিন থেকে রীনাকে ফোন করে উত্ত্যক্ত করছিল মহারাজ। কুরবানির পরের দিন নবগ্রাম মোড় থেকে রীনা ও তার সাত বছরের ছেলেকে বাইকে চাপিয়ে লালবাগ ও হাজারদুয়ারি ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিল। পরের দিনও তাদের গোকর্ণ ঘুরতে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, দিদিকে জিজ্ঞাসা করেছি অন্য কোনও ছেলের সঙ্গে রীনার যোগাযোগ ছিল কি না। কিন্তু দিদি বলছে, ইদানীং দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীর সঙ্গেই তাঁর নতুন করে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কে কী কারণে খুন করল, বলতে পারব না।
অন্যদিকে, মৃতার বাবা ফাইজুদ্দিন শেখ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামের হাটতলায় ওষুধ আনতে যাচ্ছি বলে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় মেয়ে। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। এদিন মেয়ে ও নাতির খুন হওয়ার খবর পাই। তাঁর অভিযোগ, দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এই খুন করেছে। কিন্তু খুনের কারণ বলতে পারেননি তিনি। রামপুরহাট মহকুমা পুলিস আধিকারিক গোবিন্দ সিকদার বলেন, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলা পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, কী কারণে খুন তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।