কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিন সকালে নিয়ম মেনে জগন্নাথ মন্দিরে বিশেষ পুজো হয়। এরপর জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ স্নান বেদিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দই, দুধ, ঘি, মধু, গঙ্গার জল, ডাবের জল, ফলের রস, সুগন্ধি দিয়ে মহাভিষেক অর্থাৎ স্নান হয়। মন্দিরের পূজারী ও ভক্তরা প্রথা মেনে স্নান করান। এই স্নানযাত্রাতেই ভক্তরা জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রার স্নান করানোর সুযোগ পান। জগন্নাথদেবকে এই বিশেষ দিনে শাক, শুক্তো, পাঁচরকমের ভাজা, পনির তরকারি সাজিয়ে ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়।
রীতি অনুযায়ী, স্নানযাত্রার পরদিন থেকে জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। এক পক্ষকাল জগন্নাথ মন্দির বন্ধ থাকে। এরপর রথের আগের দিন নতুন মূর্তিতে জগন্নাথদেব নানা বেশভূষায় সুসজ্জিত হয়ে ফের ভক্তদের দর্শন দেন। সেই উৎসবকে নেত্র উৎসব বা নবযৌবন উৎসব বলা হয়।
হাঁসখালির চিত্তশালী থেকে জগন্নাথদেবকে স্নান করাতে এসেছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী স্বর্ণালি বিশ্বাস। সে বলে, বাবা-মার সঙ্গে আমরা তিন বোন এসেছি। এবারই আমি প্রথম এলাম। দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে জগন্নাথদেবের মাথায় জল ঢাললাম। এদিন নবদ্বীপের প্রাচীন বড় আখড়া জগন্নাথ মন্দির, রাধারমন বাগ সমাজবাড়ি আশ্রম, প্রাচীন মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরেও স্নানযাত্রা উৎসব হয়। নবদ্বীপের বড় আখড়া নাট মন্দিরে হরেকরকম পুতুল নিয়ে মেলা বসে।
স্নানযাত্রার পূণ্য তিথিতে নবদ্বীপের দেবী পোড়ামার বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে বিশেষ পুজো হয়। এদিন সকালে ঢাক ও অন্য বাদ্যযন্ত্র সহকারে গঙ্গা থেকে জল নিয়ে আসা হয়। সেই জল দিয়ে পোড়ামাকে স্নান করানো হয়।
পোড়ামা মন্দিরের পুরোহিত বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেন, স্নানযাত্রার পূণ্য তিথিতে এই উৎসব হয়। সেই উপলক্ষে ষোড়শপচারে পুজো হয়। এদিন ভোরে দেবীর অভিষেক হয়। পূর্ণিমা থাকাকালীন সকালে মায়ের বাৎসরিক পুজো সম্পন্ন হয়। দেবীকে এদিন ভোগ হিসেবে খিচুড়ি, বিভিন্নরকমের ভাজা, আলুর দম, তরকারি, পায়েস নিবেদন করা হয়। প্রতি বছর এই দিনে ভোরবেলায় পোড়ামার তামার দেবীঘটের গঙ্গার জল ও ডাব পরিবর্তন করা হয়।