কর্মের উন্নতি হবে। হস্তশিল্পীদের পক্ষে সময়টা বিশেষ ভালো। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের কর্মের প্রসার। আর্থিক দিকটি অনুকূল। ... বিশদ
এই মরশুমে বাংলাদেশে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সিরাপ। শীতের আগেই কয়েক গুণ বেড়ে যায় তার দাম। ফলে কয়েক বছর ধরেই এই সিরাপ পাচারের রমরমা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে নেশার জন্য এই সিরাপের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণভাবে মদ পাওয়া যায় না। সেদেশের মদের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণে নেশাগ্রস্তরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে নেয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে সক্রিয় মুর্শিদাবাদ সীমান্তের দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাঠিয়ে দিচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত কোডাইন মিশ্রিত এই কাশির সিরাপ, যা শুধুমাত্র নেশার জন্য ব্যবহার হয় ওপার বাংলায়। বাংলাদেশে পাচার করতে পারলেই এক একটি সিরাপের শিশি থেকে অন্তত ৫০০ টাকা লাভ মেলে। এখন মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকাজুড়ে তাই সিরাপ পাচারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে কারবারিরা। সীমান্তের গ্রামগুলিতে এই কারবারে সক্রিয় শত শত যুবক। উৎসবের মরশুমে তারা ফের সক্রিয় হয়েছে বলেই খবর গোয়েন্দা বিভাগের। এনিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন পুলিস ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
বিশেষ করে ভগবানগোলা, লালগোলা, জলঙ্গি, কাকমারিচর, বামনাবাদ, সাগরপাড়া, ঘোষপাড়া ও রানিনগরের এলাকায় পাচারের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এখানকার সিন্ডিকেট ২০৩ টাকা দাম দিয়ে সিরাপ কিনছে। সীমান্তের সিন্ডিকেট থেকে কারবারিরা সেই সিরাপ নিয়ে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে ৮০০ টাকা দামে। সেখানে বিপুল দামে এক এক বোতল সিরাপ বিক্রি হচ্ছে, মাদক দ্রব্য হিসেবে। বিএসএফের আধিকারিকরা বলেন, মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় ওপর বাংলায় সিরাপ খুব জনপ্রিয়। সাগরপাড়া ও রানিনগর সীমান্ত দিয়ে এখন সবথেকে বেশি সিরাপ চোরাচালান করার চেষ্টা করছে পাচারকারীরা। সীমান্তে বিএসএফ সক্রিয় রয়েছে। বাইরে থেকে মাল এনে গ্রামের মধ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়। তারপর সুযোগ বুঝে সেগুলিকে ওপারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আমরা নজরদারি বাড়িয়েছি।