কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এদিন তিন দফা দাবিতে ডেপুটেশনের নামে এবিভিপি নন্দীগ্রাম কলেজে ঢোকে। চারদিকে সংগঠনের পতাকা লাগানো হলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তীব্র আপত্তি করে। সেসময় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে ঠেলাঠেলি ও ধস্তাধস্তি বাধে। কলেজে আসা সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। টিএমসিপি-র বাধা পেরিয়ে এবিভিপি-র বহিরাগতরা কলেজ জুড়ে ছাত্র সংগঠনের গেরুয়া পতাকা বেঁধে দেয়।
রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তর সমস্ত কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবদন করতে কেন্দ্রীয়ভাবে পোর্টাল চালু করেছে। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে ইউনিট খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন। সোমবার থেকে কলেজের গেটের বাইরে সংগঠনের পক্ষ থেকে হেল্প ডেস্ক চালু হবে। এই হেল্প ডেস্ক নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য এদিন অধ্যক্ষকে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিল এবিভিপি। যদিও কলেজে বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ওই ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। তাই বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে এদিন কলেজে ঢোকে এবিভিপি। কলেজ চত্বরে ঢুকেই প্রধান গেট থেকে কলেজ বিল্ডিং পর্যন্ত সর্বত্র পতাকা বাঁধা শুরু হয়। মূল ভবনের উপরও এবিভিপি-র গেরুয়া পতাকা বেঁধে দেওয়া হয়।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে জেতার পর বিজেপির ছাত্র সংগঠন একাধিক কলেজে ইউনিট খোলার পরিকল্পনা নিয়েছে। ফার্স্ট সেমেস্টারে ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন হেল্প ডেস্ক বসানোর মধ্য দিয়ে তারা কলেজে ঢোকার পরিকল্পনা নিয়েছে। শনিবার নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে অবশ্য প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়েছে এবিভিপিকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কোনও অবস্থায় কলেজে নিজেদের জায়গা ছাড়তে নারাজ। এদিন সীতানন্দ কলেজে সেটাই বুঝিয়ে দিয়েছে টিএমসিপি।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সীতানন্দ কলেজ ইউনিটের সভাপতি সুমতি মণ্ডল বলেন, এবিভিপি কিংবা অন্য যেকোনও ছাত্র সংগঠনের কলেজে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু, বিজেপির ছাত্র সংগঠনের নামে বহিরাগতরা এসেছিল। তাদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। কলেজে এরা কোন ধরনের রাজনীতি আমদানি করতে চাইছে? এই কলেজে টিএমসিপি একটি স্বীকৃতি ছাত্র সংগঠন। এখানে এবিভিপি নামে কোনও ছাত্র সংগঠনের অস্তিত্ব নেই।
এবিভিপির নন্দীগ্রাম ইউনিট সভাপতি সৌভিক জানা বলেন, নন্দীগ্রাম সীতানন্দ কলেজে শুধুমাত্র একটা ছাত্র সংগঠন কাজকর্ম করছে। আমরাও এই কলেজে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে কাজ করতে চাই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আড়ালে বহিরাগতরা কলেজের ভিতরে রাজনীতি করে। অনলাইনে ভর্তি হলেও টিএমসিপি ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে। কলেজের মধ্যে ওরা হেল্প ডেস্ক খুললে আমরাও খুলব। এই ইস্যুতে আমরা ডেপুটেশন দিই। সেসময় আমাদের লক্ষ্য করে কটাক্ষ করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তানিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।