কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
নন্দীগ্রাম-১ব্লকের ভেকুটিয়া ও সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের পতাকা ও ফেস্টুন বিজেপির লোকজন ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ভেকুটিয়ার কাণ্ডপসরা, বাড় কাণ্ডপসরা, বৃন্দাবনপুর, জেলেমারা, পঞ্চম খণ্ড জালপাই প্রভৃতি এলাকায় তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় সেই ছবিও ধরা পড়েছে। ২০২১সালে পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও উত্তপ্ত হয়েছিল ভেকুটিয়া। লোকসভা ভোটের মুখে আবারও সেইসব এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে।
সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউদখালি, গাংড়া, সাউদখালি-জালপাই এবং সোনাচূড়াতেও তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন লাগানোর পর খুলে ফেলা হচ্ছে। গত বছর সোনাচূড়া পঞ্চায়েত জেতার পরও বিজেপির লোকজন সেখানে ব্যাপক সন্ত্রাস করেছিল বলে অভিযোগ। পাল্টা নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পতাকা, হোর্ডিং খুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। দাউদপুর, সামসাবাদ এবং কেন্দামারি-জালপাই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির পতাকা ও হোর্ডিং লাগানোর পরই সেসব খুলে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে সরগরম নন্দীগ্রাম। এপর্যন্ত ২০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
গোটা নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মোট ৭৪টি বুথকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওইসব এলাকায় আধাসেনার রুটমার্চ বাড়ানো হবে। আগামী ২২মে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের বাইপাসে জনসভা করবেন। সেই উপলক্ষ্যে শাসক দলের তরফে বিভিন্ন জায়গায় পতাকা, ফেস্টুন বাঁধা চলছে। রাতের অন্ধকারে সেইসব ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
ভেকুটিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাঞ্চন দাস বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু জায়গায় পতাকা, ফেস্টুন খুলে নিচ্ছে বিজেপির লোকজন। এর আগে দলীয় প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যকে এখানে বিজেপির লোকজন বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। সুস্থ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে বিজেপি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, বিজেপির কখনও অন্য দলের পতাকা, ফেস্টুন ছেঁড়ায় বিশ্বাসী নয়। বরং তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন দাউদপুর, কেন্দামারি-জালপাই এবং সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আমাদের পতাকা, হোর্ডিং ছিঁড়ে দিচ্ছে। নন্দীগ্রাম থানার আইসি অনুপম মণ্ডল বলেন, বুধবার আমাদের থানা এলাকায় এক কোম্পানি আধাসেনা এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকে রুটমার্চ হবে।