কাজকর্ম ও উচ্চশিক্ষায় দিনটি শুভ। ব্যবসার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এমনিতেই বেশ কয়েক বছর হল বীরভূম জেলাকে দুই লোকসভা কেন্দ্রিক সাংগঠনিক জেলাতে ভাগ করা হয়েছে। সাংগঠনিক জেলা হিসাবে দুই জেলাতে দুই সভাপতি রয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে জেলা সভাপতিদের বদল হওয়ার জল্পনা থাকলেও ঝুঁকি নেয়নি রাজ্য নেতৃত্ব। বীরভূমে ধ্রুব সাহা ও বোলপুরে সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলকে সামনে রেখেই নির্বাচনে নামে দল। পাশাপাশি দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দলের সমান্তরাল এক গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেও আসে। কিন্তু সেসব কড়া হাতে দমন না করেও নির্বাচনে ঝাঁপায় দল। এই অবস্থায় ভোটে কে কেমন লড়াই করলেন, সেটাই তাঁদের ভবিষ্যতের ভাগ্য নির্ধারক হতে চলেছে। প্রথমত, দলের সংবিধান অনুযায়ী এই জেলার দুই জেলা সভাপতিরই মেয়াদকাল শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত, পাশাপাশি শাখা সংগঠন ও জেলাস্তরের কিছু নেতার পদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৪ জুন ফল বেরনোর পর থেকেই দলে কোন নেতার কেমন ‘পারফরমেন্স’, তা সার্ভে করা হবে। সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বিভিন্ন উচ্চ সাংগঠনিক স্তরে জমা পড়বে। সেই ভিত্তিতেই ঠিক হবে আগামীতে বীরভূম জেলাতে বিজেপির প্রধান মুখ কারা হতে চলেছেন। দলীয় একটি সূত্র বলছে, বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁকে অন্য কোনও পদে পাঠানো হবে। একইভাবে বোলপুর কেন্দ্রে একেবারে তরুণ জেলা সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও জেলা সাধারণ সম্পাদক, সহ সভাপতিদেরও বদল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এখন ভোটের পর দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, এতদিন ধরে মাঠে নেমে লড়াই করলেও এবং লোকসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা সত্ত্বেও কেন সব বুথে নিজেদের এজেন্ট দেওয়া গেল না? কেন ভোটের দিন ব্লক ভিত্তিক বিজেপি মণ্ডল নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেখা গেল না। এইসব প্রশ্নই সংগঠনের রদবদলের জল্পনা আরও উস্কে দিচ্ছে। পদ হারানোর কোপ যে মণ্ডল সভাপতিদের উপরও আসতে পারে, তা প্রকাশ্যেই বলছেন বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁদের পরিষ্কার দাবি, বিজেপি দল হারের পর দিন থেকেই নিজেদের মূল্যায়ন, সাংগঠনিক কাঁটাছেড়া শুরু করে দেয়। তাতে আগামী বিধানসভাতে লড়াই দিতে এই জুন মাস থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে যাবে। বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বলেন, এখন ওসব নিয়ে ভাবতে রাজি নই। তৃণমূল দিকে দিকে আমাদের কর্মীদের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এখন তাঁদের পাশে থাকতে হবে। আর পদ থাকল কী না, তা নিয়ে অন্তত আমি ভাবিত নয়। এটা হাইকমান্ড ঠিক করে। বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি দীপক দাস বলেন, দলের উচ্চ নেতৃত্ব যখন যা ভালো বোঝেন, তাই করেন। এক পদে কেউ আজীবন বসে থাকবেন না। আরও বড় দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁদের। ৪ জুন ইভিএম খুললে পদ্মফুলই দেখা যাবে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ওদের দলের বিষয় নিয়ে কিছু মন্তব্য করব না। আমরা দুই কেন্দ্রেই জয়লাভ করব, সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। বিজেপি দুই জায়গাতেই ধরাশায়ী হবে।