মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার দুপুরে গোঘাটের বালি গ্রামপঞ্চায়েতের শিবকুঠি এলাকায় বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ রুইদাসকে(৫৫)। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিযুক্ত প্রতাপ মল্লিক। সে এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। গ্রেপ্তারের পর পুলিসি জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে প্রতাপ। প্রতাপ পুলিসকে বলে, দু’বছর আগে স্ত্রী প্রতিবেশী যুবক পিন্টুর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করে চলে যায়। আমাদের পাঁচ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। তাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্ত্রীকে আবারও ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম। তার জন্য একাধিকবার আমি পিন্টুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে স্ত্রী ও পিন্টু কোথায় রয়েছে, সেই ঠিকানা জানতে চাই। কিন্তু, ওই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে কখনই আমাকে ওদের ঠিকানা দেওয়া হয়নি। যে কারণে নিজের ভিতরে ভিতরে রাগে ফুঁসছিলাম। খুনের ঘটনার দিন সকালেও পিন্টুর বাড়িতে গিয়ে ওর বাবা রবীন্দ্রনাথ রুইদাসের কাছে ঠিকানা জানতে চেয়েছিলাম। যে কারণে ওই দিন সকালে অশান্তি হয়েছিল।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন সকালে মৃতের বাড়িতে অশান্তি করে বেরিয়ে আসার পর প্রতাপ মদ্যপান করে। প্রতাপ পুলিসকে জানিয়েছে, মদ্যপানের পর সে নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি। যে কারণে পাড়ার রাস্তায় সে ওঁত পেতে ছিল। কখন পিন্টুর বাবা ওই রাস্তা দিয়ে যাবে সেই প্রতীক্ষায় ছিল। পুলিসের জেরায় প্রতাপ স্বীকার করে, রবীন্দ্রনাথকে মারার জন্য সে আগে থেকেই শক্ত বাঁশ জোগাড় করে রেখেছিল। তবে তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার তার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। বাঁশ দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে এলাকা ছেড়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপকে গ্রেপ্তারের পর তার মধ্যে কোনও অনুতাপের বিষয় লক্ষ্য করা যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই পুলিসের প্রাথমিক জেরায় সে খোলামেলাভাবে সোজাসাপ্টা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথবাবুকে খুনের ঘটনার ঘটনার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবরোধ ও মিছিল করা হয়। তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। যদিও পারিবারিক বিষয়ে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।