মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল প্রমুখ।
তিনি বলেন, একটা সময় ছিল, আমি লুকিয়ে বেআইনি বালিবোঝাই লরি ধরেছি। সেই রকমই আগামী দিনে বন রক্ষায় আমি একই পদক্ষেপ নেব। আমি জানি, বনের জমি অনেক ব্যবসায়ী কায়দা করে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বনের জমি বনেরই থাকবে। তা মানুষের উপকারে লাগানো হবে। কাউকে ব্যবসায়িক স্বার্থে বনের জমি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমি জানি, আমাদের দপ্তরে কর্মী সংখ্যা কম। দিন রাত তাঁদের কাজ করতে হয়। ভালো কাজ করেও প্রচারে আসেন না। তাই আমি ঠিক করেছি, পুলিসের মতো বনকর্মীদেরও ভালো কাজের জন্য মেডেল তুলে দেব। একই সঙ্গে খারাপ কাজ করলে সাসপেন্ড করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বনরক্ষার জন্য গাছ বিক্রির লভ্যাংশের ২৫শতাংশ টাকা আগের সরকারের আমলে দেওয়া হতো। আমাদের সরকার তা বাড়িয়ে ৪০শতাংশ করেছে। বাঁকুড়ায় চলতি বছরে প্রায় ২০কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে সাড়ে ছ’কোটি টাকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। বাকি সাড়ে ১৩কোটি টাকা বনবান্ধব উৎসবে দেওয়া হবে। বনমন্ত্রী বলেন, বাঁকুড়ায় বুনো হাতির আক্রমণে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তবে আগের চেয়ে তা অনেকটাই কমেছে। ভৌগলিক কারণে হাতির পাল অন্য রাজ্য থেকে চলে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই সমস্যা চলে আসছে। সমাধানের জন্য আমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ মানুষদের পরামর্শ নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছি। তবে একই সঙ্গে জঙ্গলমহলের মানুষদের সচেতন হতে হবে। এর জন্য স্কুল, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, জনপ্রতিনিধি সবাই মিলে সচেতনতার কাজ করতে হবে। রাতে অথবা ভোরে জঙ্গলে যাওয়া চলবে না। তাহলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কবলে পড়ে গোটা বিশ্ব জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে সবুজ ক্রমশ ধ্বংস হচ্ছে। তার প্রভাব আবহাওয়ার উপর পড়ছে।