মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত পাল বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে অনেক পড়ুয়া পড়াশোনা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। তাদের পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে ওঠার জন্য এই শিবিরে অংশগ্রহণ কাজে লাগবে। পড়ুয়াদের পাশাপাশি সমাজ জীবনেও প্রভাব পড়বে বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষ ও প্রশিক্ষকদের।
প্রত্যন্ত এলাকায় তালোঞা অরুপচন্দ্র দে হাই স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১১৬০। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে রয়েছেন ৩২ জন। বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের মানোন্ননের পাশাপাশি পড়ুয়াদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের উদ্দেশ্যে শিবিরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ধ্যান শিবিরের ব্যবস্থা করেন। প্রশিক্ষক সুরজ রজক বলেন, এই শিবিরে আমরা যেটা দেখাই তা রাজযোগের অংশমাত্র। এক মনে ধ্যানের মাধ্যমেই প্রতিটি জীবের সুস্থ মনের দরজা খুলে যায়। ফল হিসেবে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। পড়ুয়াদের যেহেতু মনঃসংযোগ আবশ্যক, তাই তাদের ক্ষেত্রে এই শিবির ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
তিনদিনের এই শিবিরে যোগ দিয়েছে স্কুলের অধিকাংশ পড়ুয়া। প্রথম দিনের শিবির থেকেই সুফল মিলছে বলেই দাবি স্কুল পড়ুয়াদের। নবম শ্রেণীর ছাত্রী অনীশা দাস বলে, কোনও বিষয়ের উপর স্থির লক্ষ্য না রেখেই আমাদের চোখ বন্ধ করে একমনে ধ্যানের পদ্ধতি বলা হয়েছে। এইভাবে চোখ বন্ধ রেখে অভুতপূর্ব অনুভুতি হচ্ছে। স্কুলের এক ছাত্র সত্যজিৎ দে বলে, স্কুলের শিবির শেষে রাতে বাড়িতে গিয়ে ধ্যানমগ্ন হয়ে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষও সমানভাবে এই শিবিরে অংশ নিয়েছে।