বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলারদের অনেকেই সারা বছর এলাকায় আসেন না, কোনও সমস্যার কথা শোনেন না। চারদিকে আবর্জনা জমে থাকে, ড্রেনগুলি সময়মতো পরিষ্কার হয় না। শহর এলাকার নোংরা ড্রেনগুলিতে হোগলা বাগান হয়ে গিয়েছে, দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মুখে কাপড় বেঁধে, ব্লিচিং ও ঝাঁটা নিয়ে এদিন কাউন্সিলারদের বাৎসরিক সাফাই অভিযানকে ‘লোকদেখানো কাজ’ বলে কটাক্ষ করেন বাসিন্দারা। তবে ওয়ার্ড অপরিচ্ছন্ন করার জন্য নাগরিকদের একাংশের সচেতনতার অভাবকে দায়ী করে এদিন দায়িত্ব এড়িয়েছেন হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক।
এদিন সকাল থেকেই পুরসভার উদ্যোগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলারদের নেতৃত্বে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা ও সাফাই অভিযান শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ দুর্গাচক মহকুমা হাসপাতালে সাফাই অভিযানের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল(স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল(পূর্ত) নারায়ণচন্দ্র প্রামাণিক, স্থানীয় কাউন্সিলার প্রদীপ দাস প্রমুখ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি ওয়ার্ডের ওয়েজ এমপ্লয়মেন্ট স্কিমের সাফাইকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, পুরসভার স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী, স্থানীয় ক্লাব সংগঠনের লোকজন মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ এদিন পুরসভাজুড়ে সাফাই অভিযানে নামেন। এজন্য মোট ১০০কেজি ব্লিচিং ছড়ানো হয়। এছাড়া মশা মারার তেল স্প্রে করা হয়। রাস্তার পাশের আগাছা থেকে নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা পরিষ্কার সবই করা হয়। সাফাই চলাকালীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে নাগরিকরাও একাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাত লাগান। অনেক জায়গায় সাফাই নিয়ে বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, পুরসভা নিয়মিত সাফাই করে না। এদিন বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলারদের এই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল নারায়ণবাবু বলেন, এদিন সাফাই অভিযানের পাশাপাশি আমরা ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সঙ্গেও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে কয়েকদিন আগেই পুরসভার কাউন্সিলারদের জনসংযোগে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু হলদিয়ায় তৃণমূলের বিধায়ক নেই। সেজন্য কাউন্সিলারদের গুরুত্ব দিয়ে এদিন সাফাই অভিযানের সময়ে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে বলা হয়েছিল। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাফাই কাজের রাহা খরচ বাবদ ৫০০০ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই অর্থের সঙ্গে আরও কিছু অর্থ যোগ করে শতাধিক কর্মী ও মানুষের জন্য সাফাইয়ের পর দুপুরে মুরগি মাংসের ঝোল, ডাল, ঘণ্ট খাওয়ানো হয়েছে।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, পুর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বছরে তিনবার এভাবে সামগ্রিক সাফাই অভিযান করা হয়। এজন্য পুরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে। তাঁর দাবি, হলদিয়া পুর এলাকা পরিচ্ছন্ন থাকে বলেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা গিয়েছে। এখানে সেভাবে ডেঙ্গু হয় না। তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। পুরসভার সাফাইকর্মীরা নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করলেও সচেতনতার অভাবে সেখানে বাসিন্দারা প্লাস্টিক ফেলে, আবর্জনা ফেলে আটকে দিচ্ছেন। বারবার সচেতন করার পরও এঘটনা ঘটে। সেজন্য সবাইকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।