বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
কালনার মহকুমা শাসক নীতেশ ঢালি বলেন, বুড়োরাজের বিশেষ পুজো উপলক্ষে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের তরফে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, পূর্বস্থলীর জামালপুরে বহু পুরনো মন্দির হল বুড়োরাজের মন্দির। এক সময় ওই এলাকা গভীর জঙ্গলে ঢাকা ছিল। একদিন ওই গভীর জঙ্গলে বুড়োরাজ শিব লিঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে বর্তমান সেবাইতদের পূর্বপুরুষরা কষ্টি পাথরের মূর্তিটি নিয়ে একটি খড়ের চালা মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে খড়ের চালা মন্দিরে আজও পূজিত হয়ে আসছেন বুজোরাজ। অনেক পুণ্যার্থী জামালপুরের বুড়োরাজকে ধর্মরাজের মতোই মনে করেন। আজও মন্দিরে পুজো দিতে এসে অনেকে ধর্মরাজের নামে জয়ধ্বনি দেন। অনেকেই মানত করে সমস্ত বিপদ ও জটিল রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে ভক্তরা দাবি করেন। বুদ্ধপূর্ণিমায় ও মাঘী পূর্ণিমায় বুড়োরাজের বিশেষ পুজো হয়। তবে, বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সব থেকে বড় পুজো ও বিশাল মেলা বসে এখানে। বর্ধমান জেলায় সব থেকে বড় মেলা হিসেবে পরিচিত বুড়োরাজের মেলা। ওইদিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। মানত পূরণে পাঁচ হাজারেরও বেশি ছাগ বলি দেওয়া হয়।
মন্দিরের সেবাইতরা জানান, প্রতিদিন সকালে বুড়োরাজের নিত্যপুজো হয়। প্রতি সোমবার হয় বিশেষ পুজো। বুড়োরাজের কাছে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার পুণ্যার্থী পুজো দিতে আসেন। তবে শ্রাবণ মাসজুড়ে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে বুড়োরাজের মন্দিরে। নবদ্বীপ, কাটোয়া অথবা পাটুলির গঙ্গা থেকে বাঁকে করে জল নিয়ে আসেন তাঁরা। দুধ ও গঙ্গা জল বুড়োরাজের মাথায় ঢেলে পুজো দেন সকলে। মানত পূরণে ভক্তরা ছাগ বলিও দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পুজো দিতে আসার কারণে প্রতিদিন দূর দূরান্তের পুণ্যার্থীরা জামালপুরের বুড়োরাজের মন্দিরে আসেন। কিন্তু এখানে রাত্রিবাসের জন্য কোনও অতিথিশালা বা গেস্ট হাউস নেই। সন্ধ্যা হলেই পুণ্যার্থীদের রাত্রিবাসের জন্য নবদ্বীপ বা কাটোয়ায় গেস্ট হাউস ভাড়া নিতে হয়। আগামীদিনে বুড়োরাজের মন্দির চত্বরে আশেপাশের হোটেল বা গেস্ট হাউস থাকলে পুণ্যার্থীদের সুবিধা হতো। এমনকী স্থানীয় মানুষ ব্যবসা করতে পারতেন।