কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
অন্যদিকে, জমি হাঙরদের থাবায় লুট হচ্ছে সরকারি জমিও। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর টনক নড়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের। তারা এবার খাস জমিতে সাইনবোর্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকে এই অভিযান শুরু হবে বলে খবর।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার শিলিগুড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে সেভক রোড অন্যতম। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকদিন আগেই রাস্তাটি সম্প্রসারণ করেছে পূর্তদপ্তর। এজন্য রাস্তা থেকে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। সম্প্রসারণ কাজ শেষ হতেই আবার রাস্তার একাংশ দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রাস্তার পাশে বসানো হচ্ছে দোকান। ইতিমধ্যেই দোকান ঘরের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যার নেপথ্যে শাসকদলের একাংশ রয়েছে বলে অভিযোগ।
সংশ্লিষ্ট এলাকাটি ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। স্থানীয় কাউন্সিলার তৃণমূলের শিবিকা মিত্তাল অবশ্য বলেন, রাস্তা সম্প্রসারণ করার সময় ৩৬টি দোকান ভাঙা হয়। সকলেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। রাস্তা বা নিকাশি নালায় নয়, পূর্তদপ্তরের দেওয়া জমিতে দোকান তৈরি করা হচ্ছে। জবরদখলের অভিযোগ ঠিক নয়। আমরা কাউকে রাস্তা, ফুটপাত ও নালা দখল করতে দেব না।
তৃণমূলের শিলিগুড়ি টাউন-৩ কমিটির সভাপতি দুলাল দত্ত বলেন, জবরদখলের সঙ্গে দলের কোনও নেতা-কর্মী জড়িত নেই। তা হলেও বিষয়টি প্রশাসন দেখবে। এক্ষেত্রে যা পদক্ষেপ নেওয়ার তারা নেবে।
কেবলমাত্র সেভক রোড নয়, কাছারি রোড, হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড সহ বিভিন্ন রাস্তাতেই থাবা বসিয়েছে জবরদখলকারীরা। যার ফলে এই শহরে যেমন যানবাহনের গতি যেমন, তেমনই সৌন্দর্যও মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী সরব হওয়ার পরই জবরদখল উচ্ছেদের ব্যাপারে তেড়েফুঁড়ে নামার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা। মঙ্গলবার পূর্তদপ্তরের বাংলোয় দলীয় কাউন্সিলারদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র। পরে তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে। রাস্তা, ফুটপাত ও নিকাশি নালা থেকে মাঝেমধ্যেই ভাঙা হচ্ছে গুমটি দোকান। আবার ত্রিপল খাটিয়ে জায়গাগুলি দখল করা হচ্ছে। এটা আর বরদাস্ত করব না। রাস্তা ধরে ধরে নিয়মিত জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান চলছে। শহরে আর বেআইনিভাবে বহুতল গড়তে দেব না। বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হবে।
অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির সীমানা কাওয়াখালি, পোড়াঝাড় সহ সর্বত্র সরকারি জমিতে থাবা বসিয়েছে জমি হাঙররা। সোমবার পুরসভাগুলিকে নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিস এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন। এতেই টনক নড়ে ভূমিদপ্তরের। আগামী শুক্রবার থেকে তারা খাস জমিতে সাইনবোর্ড বসানোর অভিযানে নামবে। শিলিগুড়ি মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক টিনা ডুকপা বলেন, ইতিমধ্যে খাস জমি চিহ্নিত করে ‘ল্যান্ডব্যাঙ্ক’ প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই তালিকা অনুসারেই খাসজমিতে সরকারি সাইনবোর্ড বসানো হবে।