কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
মাটি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এর ফলে কৃষিকাজে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। তাঁরা জানিয়েছেন, দার্জিলিং হিমালয় প্রধানত নবীন পাললিক শিলা দ্বারা গঠিত। তাই দার্জিলিং পাহাড়ের শিলাগুলি সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। আর হিমালয়ের পাদদেশ অঞ্চলে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে শিলাস্তরের ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি ক্ষারীয় পদার্থ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমতলে এসে মাটিতে মিশছে। এছাড়াও বেশ কয়েক বছর ধরে বৃষ্টিপাতের খামখেয়ালিপনার ফলে মাটির হিউমাস পচে গিয়ে অ্যাসিটিক অক্সালিক এবং সাইট্রিক অ্যাসিড তৈরি হচ্ছে। ফলে মাটির অম্লত্ব বাড়ছে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে মাটিতে হাইড্রোজেন ও আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহের কিছু এলাকার মাটিতে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্যগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার খাড়া ঢালে মাটির ব্যাপক ক্ষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান রিসার্চ অব এগ্রিকালচারের সিনিয়র কৃষি বিজ্ঞানী কৌশিক পাল বলেন, উত্তরবঙ্গের মাটিতে অম্লত্বের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যায় কৃষকরা পুরনো পদ্ধতিতে মাটিতে সার প্রয়োগ করেন। এক্ষেত্রে মাটি পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া পাহাড়ের ঢালে গাছ লাগানো সহ কৃষিকাজে পরিবর্তন আনা জরুরি। এই বিষয়ে এখনও সুস্পষ্ট মতামত দেওয়া সম্ভব নয়। তবে গবেষণা চলছে।
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিভাগের প্রধান তথা ডিন দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, নদীর গতিপথ সহ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জন্য উত্তরবঙ্গের মাটির ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন তোর্সা নদী সংলগ্ন এলাকার মাটিতে কাদার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কয়েক বছর ধরে অধিক বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ের মাটিতে যে রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গিয়েছে তা পাহাড় সংলগ্ন এলাকার সমভূমিতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে সমতলের মাটির ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে কৃষিকাজের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেছেন মাটি বিশেষজ্ঞরা। তবে এবিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা দরকার। মাটি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কৃষকদের উচিত মাটি পরীক্ষা করে মাটির ভৌত ও রাসায়নিক চরিত্র যাচাই করা। মাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে চুন, ডলোমাইট ও ক্যালশিয়াম ব্যবহার করা। সেচের সময় জিপসাম ব্যবহার সহ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা প্রয়োজন।