কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বালুরঘাট পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল বিপুলকান্তি ঘোষ বলেন, শহরে আজ থেকে স্পেশাল অভিযানে নামছে পুরসভা। শহরের নানা জায়গা সাফাইয়ের জন্য টিম গঠন হয়েছে। আলাদা করে ডেঙ্গু ভেক্টর টিম বাড়ি বাড়ি সার্ভে করছে। শহরে চার জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পেয়েছি। সকলেই সুস্থ রয়েছেন। শহরের এক বাসিন্দা বিপ্লব সরকার বলেন, সন্ধ্যা হলে স্বাভাবিকভাবে মশার উৎপাত বাড়ে। কিন্তু এখন দুপুর থেকেই মশা কামড়াচ্ছে। ফলে আমাদের ভয় লাগছে। ড্রেনগুলিতে ঠিকমতো মশানাশক স্প্রে ব্যবহার করা হয় না। এভাবে চলতে থাকলে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়বে।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরে জেলার বিভিন্ন ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই ৪০ জনের ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর মিলেছে। বেশিরভাগ আক্রান্তই বাইরে থেকে জেলায় এসেছে। তবে বালুরঘাট পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে দু’জন স্থায়ী বাসিন্দা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্য দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। বাইরে থেকে তাঁরা জ্বর নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। বাড়িতে এসে রক্ত পরীক্ষা করলে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। বর্তমানে তাঁরা বাড়তেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে পুরসভার তরফে ২০ জন সাফাই কর্মীকে স্পেশাল অভিযানে লাগানো হয়েছে। ১০ জনকে দু’টি টিম করে দেওয়া হয়েছে। তারা আত্রেয়ী নদীর ধার, খাঁড়ি ও জলা জায়গাগুলি পরিষ্কার করছে। কোথাও ডেঙ্গুর লার্ভা রয়েছে কি না তা দেখা হচ্ছে। তবে মশানিধনকারী টিমকে তেমনভাবে শহরে দেখা যাচ্ছে না। ফলে ড্রেনগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তরফেও ডেঙ্গু নিয়ে জেলায় বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।