কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
অনিয়মের হাতে গরম উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ব্ল্যাডব্যাঙ্কে রক্ত নিতে গিয়ে রোগীর পরিজনদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বহির্বিভাগ সকাল ৯টার সময় খোলার নিয়ম থাকলেও একাংশ চিকিৎসক ১১ থেকে ১২টা নাগাদ আসেন। লম্বা লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হয় রোগীদের। গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটিতে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদ ফাঁকা থাকায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবেই স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটিতে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে কেউ যোগ দিচ্ছেন না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। হাসপাতালে অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস বর্তমানে ফাঁকা। এপ্রসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দাস বলেন, গঙ্গারামপুর মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নজরদারির জন্য তৈরি করা অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। শূন্যপদ পূরণ করা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাজ। সুপার স্পেশালিটিতে পরিষেবা নিয়ে প্রতিদিনই ভুরিভুরি অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। সাধ্যমতো সমাধান করার চেষ্টা করা হয়। রোগীকল্যাণ সমিতির মিটিংয়ে পরিষেবা উন্নত করার বিষয় নিয়ে অনেক মিটিং হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁদের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করুন।
গঙ্গারামপুর হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার বাবুসোনা সাহা বলেন, জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পদের অতিরিক্ত দায়িত্বে আমি আছি। যেহেতু কেউ নেই তাই আমাকেই এই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। কোনও অভিযোগ এলে তা সমাধানের চেষ্টা করি। ভালো পরিষেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতাল একই জায়গায়। মহকুমা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরে পরিকাঠামোর অভাবের জন্য কখনই মহকুমা পর্যায়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কাউকে বসানো হয়নি অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিসেবে।
গঙ্গারামপুর মহকুমার চারটি ব্লক, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের কিছু অংশের সাধারণ মানুষ গঙ্গারামপুরে চিকিৎসা করাতে আসেন। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদেরকেও। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, স্বাস্থ্যভবনও বিষয়টি জানে। সেখান থেকেও শূন্যপদ পূরণের চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের পদ পূরণ হলে হাসপাতালের যে কোনও সমস্যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।