কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
২০১৪ সালের ২৫ জুন সাবেক জলপাইগুড়ি জেলা থেকে পৃথক জেলা হয় আলিপুরদুয়ার। জেলা হওয়ার পর সমস্ত সরকারি দপ্তরও আলাদা হয়েছে। কিন্তু এখনও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় অফিস ৬৫ কিমি দূরে কোচবিহারে রয়ে গিয়েছে। সেই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় অফিসটি আলিপুরদুয়ারে সরিয়ে আনার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি এবার দেওয়া হল। একইসঙ্গে হলং বনবাংলো পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও চিঠিতে তীব্র ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও চিলাপাতা বনাঞ্চল আলিপুরদুয়ার জেলায় হলেও তার বিভাগীয় অফিসটি কোচবিহার রয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাতুল বিশ্বাস বলেন, বিভাগীয় অফিসটি আলিপুরদুয়ারে সরিয়ে আনা হলে ওই জাতীয় উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশাসনিক কাজকর্ম করতে সুবিধা হবে।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে ওই সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে জলদাপাড়ায় একটি হাতিকে কিং কোবরা ছোবল দেয়। সেই হাতিটিকে বাঁচাতে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক ইঞ্জেকশন জোগাড় করতে কালঘাম ছোটে বনদপ্তরের কর্তাদের। জাতীয় উদ্যানের বিভাগীয় অফিস আলিপুরদুয়ারে হলে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা হবে।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সংগঠনটি হলং বাংলো পুড়ে যাওয়ার পর যা প্রচার চলছে, তারও কঠোর নিন্দা করা হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলো একটা আবেগের নাম। হলং বাংলোকে নিয়ে এ ধরনের রাজনীতি কখনওই কাম্য নয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো এই চিঠি নিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এটা উপর মহলের বিষয়। এবিষয়ে তাদের কিছু বলা সমীচীন নয়।