কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
মেখলিগঞ্জ ব্লকে আটটি পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি রয়েছে তৃণমূলের দখলে। বাকি দু’টি বিজেপির দখলে ছিল। এদিনের দলবদলের জেরে গেরুয়া শিবিরের শাসনে থাকা কুচলিবাড়ি ও বাগডোগরা-ফুলকাডাবরি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। অর্থাৎ পঞ্চায়েত স্তরে কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে গেল মেখলিগঞ্জ ব্লক। আটটি পঞ্চায়েতের সবক’টিই শাসকদলের দখলে চলে এল।
সোমবার তৃণমূলের কোচবিহার জেলা পার্টি অফিসে দলবদলের কর্মসূচি হয়। সেখানে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের সদস্য রাজেশ রায় ও বাগডোগরা-ফুলকাডাবড়ি পঞ্চায়েতের সদস্য রঞ্জন রায়। কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের কংগ্রেস সদস্য হানিফা খাতুনও তৃণমূলে যোগ দেন। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী প্রমুখ।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ আসনবিশিষ্ট কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতে বিজেপির দখলে ছিল ১১টি আসন, তৃণমূল ন’টি এবং কংগ্রেস একটি আসনে ছিল। এদিন বিজেপির একজন পঞ্চায়েত সদস্য এবং কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। অন্যদিকে, ১৩ আসনবিশিষ্ট বাগডোগরা-ফুলকাডাবরি পঞ্চায়েতে সাতটি আসন ছিল বিজেপির দখলে, একটি নির্দল এবং পাঁচটি তৃণমূলের দখলে। পরবর্তীতে নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন বিজেপির একজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে দু’টি পঞ্চায়েতেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, উভয় পঞ্চায়েতেই বর্তমান প্রধানদের পদত্যাগ করিয়ে নতুন প্রধান গঠন করা হবে। বিজেপির হাতে থাকা জেলার ২৪টি পঞ্চায়েতের মধ্যে এদিনের দু’টি নিয়ে ১০টি পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে এল। বাকিগুলিও শীঘ্রই দখলে চলে আসবে।
মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘এতদিন বিজেপিকে ধোয়ামোছার কাজ চলছিল। এবার হাওয়া দেওয়ার পালা চলছে।’ সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্য রঞ্জন রায় ও রাজেশ রায় জানিয়েছেন, দলে থেকে ঠিকমতো মর্যাদা পাননি। উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেননি। সেজন্য তাঁদের এই দলত্যাগ। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্য হানিফা খাতুনের কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হয়েই তাঁর এই দলবদলের সিদ্ধান্ত।
মেখলিগঞ্জের বিজেপি নেতা পবন ভাদানি এ প্রসঙ্গে বলেন, তৃণমূলে কেউ নাম লেখালে আমাদের কিছু করার নেই। তবে যাদের রায়ে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন, সেই জনগণই শেষ বিচার করবে।