কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে অবশ্য বলেন, শূন্যপদগুলি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তা পূরণ হবে বলে আশাবাদী।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে কর্মীসঙ্কট দীর্ঘদিনের। এখানে ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টেকনিশিয়ানের অসংখ্যপদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। শিলিগুড়ির কাছে নির্মলজোতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর শূন্যপদ পূরণের দাবিতে সরব হয় রেলের বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন। একইসঙ্গে ট্রেনযাত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহল এই ব্যাপারে রেলমন্ত্রকের কড়া সমালোচনা করে। এরপরই শূন্যপদ পূরণে হুঁশ হয়েছে মন্ত্রকের। এমনকী, তারা পুনর্বিবেচনা করে শূন্যপদের সংখ্যাও বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে রেলমন্ত্রক। তাতে রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ডিরেক্টর বিদ্যাধর শর্মার স্বাক্ষর রয়েছে।
দেশে রেলমন্ত্রকের ১৬টি জোনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল অন্যতম। রেল সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলে টেকনিশিয়ানের শূন্যপদের সংখ্যা ৭০৭টি। এবার তা সংশোধন করে করা হয়েছে ২৯৫০টি। এই জোনে দীর্ঘদিন ধরে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোক পাইলটের (এএলপি) শূন্যপদের সংখ্যা ১২৯টি। এবার তা সংশোধন করে করা হয়েছে ৪২৮টি। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট দু’টি পদে মোট ৩৩৭৮ জন নিয়োগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে নির্মলজোতে শিয়ালদহগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে মালগাড়ি। ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। ওই ঘটনার পরই রেলমন্ত্রক সংশ্লিষ্ট দু’টি পদে কর্মী নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে। বিভিন্ন মহলের বক্তব্য, একদা যাত্রী সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা ভারতীয় রেলের প্রধান লক্ষ্য ছিল। সেদিকে রেলমন্ত্রক নজর দিচ্ছিল না। রেল কর্তৃপক্ষ কিছু নতুন ট্রেন চালু করে বাহাদুরি করছিল। কিন্তু রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মীদের শূন্যপদ পূরণে তেমন হেলদোল লক্ষ্য করা যাচ্ছিল না। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর শূন্যপদ পূরণের ব্যাপারে বোধোদয় হয়েছে রেলমন্ত্রকের। এবার তারা টেকনিশিয়ান ও সহকারী চালকের শূন্যপদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এরবাইরে আরও কিছু কর্মীর পদ শূন্য রয়েছে। সেগুলিও পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি, নিয়মিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। লাইনের সংখ্যা বাড়ানো সহ পরিকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা হলেই রেলের যাত্রী সুরক্ষা বাড়বে। রেলমন্ত্রকের একাংশ জানিয়েছে, রেল পরিষেবার মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। শীঘ্রই আরও কিছু কর্মীর শূন্যপদ পূরণের বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হবে। প্রতীকী চিত্র