কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে আহত যাত্রী চৈতালি মজুমদারের বয়ানের ভিত্তিতে প্রথম অভিযোগ দায়ের করে জিআরপি। চৈতালি ট্রেনটির সংরক্ষিত কামরার যাত্রী ছিলেন। তিনি অভিযোগ দায়েরের কথা অস্বীকার করায় জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এমন প্রেক্ষাপটে জিআরপির কাছে আরও বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। মূল অভিযোগের সঙ্গে প্রতিটি অভিযোগ যুক্ত করা হচ্ছে।
জিআরপি সূত্রে খবর, এখন পর্যন্ত ১০টি অভিযোগ দাখিল হয়েছে। অভিযোগকারীদের কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের আহত যাত্রী, আবার কেউ দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীর আত্মীয়। যারমধ্যে একজন মৃত জিআরপি অফিসারের স্ত্রী রয়েছেন। এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে বলে অধিকাংশের অভিযোগ। কেউ মালগাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি, সিগন্যাল সিস্টেম বিগড়ে যাওয়া নিয়ে আশঙ্কা করেছেন। আবার কেউ কেউ রেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন।
শিলিগুড়ির সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব রেল পুলিস (এসআরপি) এস সিলভা মুরগান বলেন, ওই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে আরও বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে জিআরপি। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রচুর তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে। জিআরপি সূত্রে খবর, তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে তদন্ত চলছে। প্রথম মেটিরিয়াল এভিডেন্স সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির ইঞ্জিন, এক্সপ্রেস ট্রেন ও মালগাড়ির দুমড়েমুচড়ে যাওয়া কামরা ও রেল লাইনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ম্যানুয়াল সিগন্যাল পরিচালনা, চালান সংক্রান্ত তথ্যও জোগাড় করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত ইলেকট্রনিক তথ্য সংগ্রহ। এতে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল সিস্টেম, ট্রেন অপারিটিং সিস্টেম, টেলি কমিউনিকেশন সিস্টেম প্রভৃতি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তৃতীয়ত প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রামবাসী, ট্রেনযাত্রীদের বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বয়ান নেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০ জনের। গ্রামবাসীদের অনেকই জানিয়েছেন, হাত নাড়িয়ে, চিৎকার করে তাঁরা চেষ্টা করেও মালগাড়িকে থামাতে পারেননি। এমন প্রেক্ষাপটে রেলের রাঙাপানি স্টেশন মাস্টার, মালগাড়ির সহকারী চালক, ট্রেন ম্যানেজার, সিস্টেম অপারেটার, সিগন্যাল অপারেটার সহ একডজনের বেশি অফিসারের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে জিআরপি। তাদের এক অফিসাররা বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে রেলের অফিসার ও কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এসআরপি বলেন, এটা তদন্তের বিষয়। এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তে জিআরপি’কে সবরকমভাবে সহায়তা করা হবে।