কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, আত্রেয়ীতে এক মহিলার ডুবে যাওয়ার খবর শুনেই টিম গিয়েছিল। পরে খবর পাওয়া যায় ড্যাম পার হয়ে ভাসছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে তাঁকে উদ্ধারের জন্য ছুটে যায়। পরে পুলিস তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম রেনুকা দেবনাথ। বয়স ৪০ বছর। বাড়ি পাগলিগঞ্জের বিদায়পুরে। চোখে একটু কম দেখেন। নিজের বাড়িতেই মা ও দাদাদের সঙ্গে থাকেন। প্রতিদিন তিনি নদীতে স্নান করেন। শুক্রবার মায়ের সঙ্গে নদীতে স্নান করতে যান। এদিন নদীতে জল বেশি থাকায় আচমকা তলিয়ে যান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। প্রবল স্রোতে তিনি ভেসে চলে যান। স্থানীয় মানুষজনও তাঁকে বাঁচাতে নানা জায়গায় ছুটতে থাকেন। পুলিসও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এদিন সকাল ৮টার দিকে ওই মহিলা তলিয়ে যান। সকাল ১০টায় খবর পাওয়া যায়। ড্যামের কাছে ভেসে যাচ্ছেন মহিলা। এরপর পুলিস ও স্থানীয়রা ড্যাম পরবর্তী ত্রিধারা ক্লাব এলাকায় স্লুইস গেটের কাছ থেকে মহিলাকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পরে তিনি নদীর ঘাটেই কিছুক্ষণ বসে থাকেন। যা দেখে হতবাক স্থানীয়রা।
এক প্রত্যক্ষদর্শী অমিত রায় বলেন, কম জলে কেউ তলিয়ে গেলেও তাকে বাঁচানো যায় না। ভিনজেলা থেকে ডুবুরি এনে পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ওই মহিলা পাগলিগঞ্জ থেকে কীভাবে এলেন? শুধু তাই নয় বিপদ্দজনক ড্যাম কীভাবে পার হলেন? আমরা সবাই অবাক। পাগলিগঞ্জের ওই মহিলার প্রতিবেশী এক শিক্ষক সুরঞ্জন দে দাস বলেন, তিনি সারাবছর নদীতে স্নান করেন। সাঁতার জানেন কি না জানি না। তবে সাঁতার জানলেও এতদূর পর্যন্ত ভেসে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে তিনি প্রাণে বেঁচেছেন, এটা খুব আনন্দের। সকলেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন। মহিলার ভাই রতন দেবনাথ বলেন, দিদি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। নিজস্ব চিত্র