কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
শামুকতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের পবন রাই বলেন, ঘরের অভাবে এমন সমস্যা হচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছিল দ্রুত পাকা ঘর তৈরি করা হবে। তাই পুরনো কাঠের ঘরটি ভেঙে ফেলতে দেওয়া হয়েছিল। শুনেছিলাম, চলতি অর্থবর্ষের শুরুতেই কাজ চালু হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জন্য হয়তো কাজ শুরু করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। আমরাও চাই, কাজটি শুরু হোক।
আলিপুরদুয়ারের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জায়গায় নতুন পাকা ভবন তৈরির জন্য উপর মহলে আবেদন পাঠানো আছে। আশা করি, দ্রুত ভবন তৈরির কাজ চালু হবে। ভবন হয়ে গেলেই এসব সমস্যা মিটে যাবে।
শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে একটি বড় দোচালা কাঠের ঘরে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ছিল। উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঘরের পাশে আউটডোর ছিল। পাকা বিল্ডিং তৈরির জন্য কাঠের ঘরটি বছর খানেক আগে ভেঙে ফেলা হয়। তারপর এখনও পর্যন্ত নতুন করে ঘর বানানো হয়নি। এদিকে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরুষ বিভাগের মধ্যেই দিনের নির্দিষ্ট সময়ে আউটডোর চলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতিদিনই সমস্যা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই পুরুষ বিভাগে রোগীরা ভর্তি থাকতে চাইছেন না। কাঠের ঘরের ওই জায়গায় দ্রুত পাকা বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হোক, এমনটাই চাইছেন রোগী সহ তাঁদের পরিজনরা।
অন্যদিকে, কিছুদিন বন্ধ থাকার পর কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হোমিওপ্যাথি বিভাগটি ফের চালু করা হয়েছে। সেখানকার চিকিৎসক অন্যত্র চলে গিয়েছেন। তাই বিভাগটি বন্ধ রাখা হয়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর একজন চিকিৎসক পাঠিয়ে বিভাগটি চালু করেছে। এতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। ডেপুটি সিএমওএইচ বলেন, কুমারগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হোমিওপ্যাথি বিভাগে স্থায়ী চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত স্থায়ী চিকিৎসক পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ডাঃ রাজীব পণ্ডিত উচ্চশিক্ষার জন্য কয়েকমাস আগে লম্বা ছুটিতে যান। তারপর থেকেই বিভাগটি বন্ধ হয়ে যায়। বাসিন্দারা দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ করে বিভাগটি খোলার দাবি করেছিলেন। তপসিখাতা আয়ূষ হাসপাতাল থেকে একজন চিকৎসক সেখানে পাঠানো হয়। তিনিই এখন রোগী দেখছেন।