কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
বিজেপির মাল মণ্ডলের সভাপতি দেবাশিস পাল বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে এতদিন কোনও কাজই পুরসভা করেনি। করোনা নিয়ে প্রচার, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিলেও তাতে ডাহা ফেল করেছে। শহরে প্রচুর লোক করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন। এমনকী প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান সংক্রমণের শিকার। এখন ওরা ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশা মারতে তৎপর হয়েছে। এক-দু’জায়গায় লোকদেখানো কাজ চলছে। গোটা শহরেই মশার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। মশারি ছাড়া সন্ধ্যার পর ঘরে বসে থাকা যায় না। পুরসভার গাছাড়া মনোভাবের জন্য ডেঙ্গু ছড়ানোর আশঙ্কা আমরা করছি।
যদিও পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দীপা সরকার বলেন, আমরা প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে নানাভাবে লোকজনকে সচেতন করেছি। তারপরেও এটা আমাদের হাতে ছিল না। মানুষ ওই মারণ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে আছেন। এরই মধ্যে যাতে ডেঙ্গু থাবা বসাতে না পারে তারজন্য নালা নর্দমার জমা জলে আমরা মশা মারার তেল দিচ্ছি।
গতবছর শহরে ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া গেলেও এবার এটাই স্বস্তির যে কোনও রোগী এখনও মেলেনি। আমরা যতটা পারছি কাজ করছি। পুরসভার বিরোধী দলনেতা সুপ্রতিমবাবু বলেন, ডেঙ্গু রোধে পুরসভা ভালো কাজ করছে। এই অবস্থায় ওদের মনোবল ভাঙতে বিরোধীরা না জেনে যা মনে আসছে বলে যাচ্ছে।
এদিকে মাল শহরের পাশাপাশি মাল মহকুমাতেও ডেঙ্গু রোধে কাজ শুরু হয়েছে। মালের বিএমওএইচ ডাঃ প্রিয়াঙ্কু জানা বলেন, গতবছর বেশ কয়েকটি এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মিলেছিল। এ বছর যাতে ডেঙ্গুর প্রকোপ না দেখা দেয় সেইজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও আমরা নালা নর্দমায় মশা মারার তেল স্প্রে করছি।
মাল পুরসভায় ১৫টি ওয়ার্ড রয়েছে। পুরবাসীর দাবি, অধিকাংশ নালাতেই সারাবছর জল দাঁড়িয়ে থাকে। জমা পরিষ্কার জলেই ডেঙ্গুর বাহক মশা ডিম পারে।
তাই মশার লার্ভার মারার তেল আগেই স্প্রে করা দরকার ছিল। যদিও ইতিমধ্যেই পুরসভার কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গুর লক্ষণ রয়েছে কি না এমন রোগীর সন্ধান করেছেন। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, জ্বর সহ ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।