মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, নিজের এলাকায় আলিম জাল নোটের কারবার চালাচ্ছিল বলে কালিয়াচক থানার পুলিস সূত্র মারফত খবর পায়। সেইমতো ওই এলাকায় পুলিস অভিযান চালায়। বাড়ি থেকে আলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫০ পিস দুই হাজার টাকার জাল নোট ধৃতের প্যান্টের পকেটে কালো পলিথিনের প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় ছিল। অন্তর্বাসের মধ্যে একটি নাইন এমএম পিস্তল সে লুকিয়ে রেখেছিল। পিস্তলের মধ্যে থাকা ম্যাগাজিনে পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ ছিল। ওই যুবকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে জেরা করে অস্ত্র ও জাল নোট কোথা থেকে সংগ্রহ করেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মাস চারেক আগে ইংলিশবাজার থানা এলাকায় সুস্থানি মোড়ের কাছে এক যুবককে পুলিস গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছে পলিথিনের প্যাকেটে মোড়া অবস্থায় বেশ কিছুটা ব্রাউন সুগার পাওয়া যায়। ওই যুবকের কাছ থেকে পুলিস একটি নাইন এমএম পিস্তলও বাজেয়াপ্ত করে। কালিয়াচকের বাসিন্দা ওই যুবক বাইক নিয়ে ইংলিশবাজারে আসে। ব্রাউন সুগার একজনের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সে কালিয়াচক থেকে ইংলিশবাজার বাইপাসের মোড়ে এসেছিল বলে জেরায় পুলিসকে জানায়। ওই ঘটনার পর এবার কালিয়াচকে জাল নোটের কারবারির কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হল। ওই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণত পুলিস এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবহার করে থাকেন। সেসব এখন ড্রাগ ও জাল নোট মাফিয়াদের কাছে সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় পুলিস আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়িয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মালদহ জেলা পুলিস জাল নোট এবং মাদক কারবারের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে। বিভিন্ন থানা এলাকায় নিয়মিত অভিযানও চলছে। ফলে বিষয়টি নিয়ে মাফিয়াদের মধ্যেও ভীতি ছড়িয়েছে। সেই কারণে তারা নিজেদের কাছে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র রাখছে বলে আধিকারিকরা মনে করছেন।
এব্যাপারে এক পুলিস আধিকারিক বলেন, সাধারণ দুষ্কৃতীদের কাছে ছুরি, ভোজালি প্রভৃতি থাকে। একাধিক দুষ্কৃতী একসঙ্গে অপরাধ সংগঠিত করার সময় অন্তত একজনের হাতে দেশি বন্দুক রাখে। সাধারণত ভয় দেখানোর জন্যই তা তারা রেখে থাকে। নিজেদের মধ্যে ‘গ্যাং ওয়ার’ ছাড়া দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় না। সাধারণ মানুষকে খুব বেশি হলে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করে দুষ্কৃতীরা অচৈতন্য করে দেয়। মাদক বা জাল নোটের কারবারীরা সচরাচর নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখেও না। কিন্তু মালদহে পরপর দুটি ঘটনায় আমরা ওই দুই ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীদের কাছে নাইন এমএমের মতো আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সাবধান হতে হবে। পুলিসি অভিযানের সময় পাল্টা গুলি চালানোর কোনও পরিকল্পনা ছিল কি না, তা কালিয়াচকের ধৃত দুষ্কৃতীকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে। আগামী দিনে এব্যাপারে আমাদের আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।