মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এবারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রেকর্ড শীত পড়তে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নাগাড়ে কুয়াশাও পড়েছে। গত জানুয়ারিতে জেলায় পারদ নেমেছে ৬.৮ ডিগ্রি যা গত দু’বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার জেলায় পাল্লা দিয়ে শীত তার রূপ দেখিয়েছে। জেলাবাসী শীতকে সেজন্য ভালোভাবে উপভোগও করেছেন। জেলা জুড়ে শীতের আমেজে ছুটির দিনগুলিতে পিকনিক স্পটগুলি উপচে পড়েছে। জেলা কৃষিদপ্তর জানিয়েছে, শীতে তেমন ভাবে ফসলের ক্ষতি না হলেও কুয়াশাতে কিছু আলু ও ধানের বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ায় বড় ক্ষতির সম্ভবনা আটকানো গিয়েছে। আবহাওয়া এখন ভালো থাকায় ফসল ভালো রয়েছে।
জেলার মাঝিয়ান কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ সুমন সূত্রধর বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে জেলায় এখনও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। গত বছরে এই সময় পারদ অনেকটাই ঊর্ধ্বগামী ছিল। তবে গৌড়বঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ আর বেশিদিন উপভোগ করতে পারবে না জেলাবাসী। এক সপ্তাহের মধ্যে গরমভাব শুরু হয়ে যাবে। তবে এখনই বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, মেঘমুক্ত আকাশ থাকবে। জেলায় এবারে যা শীত পড়েছে তা গত দু’বছরের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল এবারের শীতলতম দিন।
জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, জেলায় শীতের প্রভাব এবার যথেষ্ট ছিল। তার সঙ্গে কুয়াশা থাকায় কিছুটা হলেও ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কুয়াশার কারণে আলুতে ধসা রোগ দেখা গিয়েছিল। আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। এছাড়াও আমন ধানের বীজতলা যারা লাগিয়েছিল শীত ও কুয়াশার কারণে অঙ্কুর ফুটে বের হতে একটু সময় নিয়েছে। তবে এখন আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকদের কোনও সমস্যা নেই। আমরা কৃষি বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করছি।