শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফিরহাদ হাকিম সতর্ক করে দিয়েছিলেন দলের যে সমস্ত কাউন্সিলার এই নির্বাচনে নিজেদের ওয়ার্ডে লিড দিতে পারবেন না তাঁদের আগামী পুর নির্বাচনে আর টিকিট দেওয়া হবে না। টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাকে নিশ্চিত রাখতে কাউন্সিলাররা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিজেদের ওয়ার্ডে চষে বেড়াচ্ছেন। কারণ এই নির্বাচন শুধু বিজয়চন্দ্র বর্মনের অগ্নিপরীক্ষা নয়, চেয়ারম্যান মোহন বসু থেকে শুরু করে বাকি ১৪ জন কাউন্সিলারের কাছে সসম্মানে উত্তীর্ণ হওয়ার একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাচন হবে। ২০১৫ সালে পুরসভা নির্বাচন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভার ক্ষমতা দখল করেছিল। গত কয়েক বছরে করলা নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজনীতির পালের হাওয়া বদল ও চোরাস্রোত বইতে শুরু করেছে। ২০১৫ সালের পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস ১৫টি, কংগ্রেস পাঁচটি, বামেরা পাঁচটি আসনে জয়ী হয়েছিল। বিজেপি সে সময় একটি আসন জিততে না পারলেও ধূপগুড়ি পুরভোটের পর থেকে গত পঞ্চায়েত ভোটে শাসক বিরোধী প্রধান শক্তি হিসাবে গেরুয়া শিবির বারবার নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি শহরে নির্বাচন না হলেও পঞ্চায়েত ভোটের হাওয়া শহরকে ছুঁয়ে গিয়েছে। শাসক দলের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফলাফল ভালো হলেও জলপাইগুড়ির শহরে সেই ধারাবাহিকতা তারা কতটা ধরে রাখতে পারবেন সেটা শহরের একাধিক তৃণমূল নেতাই দলের অভ্যন্তরে সংশয় প্রকাশ করেছেন। শহরের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গতবারে শাসক দল ক্ষমতায় এসেছিল। শহরের অনেক উন্নয়নও হয়েছে। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় গলি রাস্তা নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা নিয়েও মানুষের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে। সরকারি, গৃহনির্মাণ প্রকল্পের সুবিধা, বিভিন্ন ভাতা না পাওয়া মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ কম বেশি সর্বত্রই আছে। শাসক দলের নেতাদের পাড়ায় পাড়ায় জনসংযোগের ক্ষেত্রেও কিছুটা ঘাটতি দেখা দিয়েছিল বলে জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি আঁচ করতে পেরে শহরের সংগঠনকে মজবুত করতে এক যুব নেতাকে সম্প্রতি বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও শাসক দলের দাবি, পুর পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভের অভিযোগ ঠিক নয়।