শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলি ভিনরাজ্যে থাকা চা বাগানের এই শ্রমিকদের টেলিফোন নম্বর সংগ্রহ করছে। টেলিফোনে শ্রমিকদের ভোটের আগের দিন বাড়ি ফেরার আর্জি জানানো হচ্ছে। ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের পরিবারগুলি জানিয়েছে, অনেক রাজনৈতিক দল ভোটের জন্য শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট এমনকী খাওয়ার খরচেরও টোপ দিচ্ছে। ভোটের পর একইভাবে ভিনরাজ্যে কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার ফিরতি ট্রেনের টিকিটেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে তারা। অবশ্য এই প্রতিশ্রুতি ও টোপের কথা কোন রাজনৈতিক দলই মুখে স্বীকার করেনি।
জলপাইগুড়ির মেটেলি থেকে অসম-বাংলা সীমান্তে কুমারগ্রামের সংকোশ পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ৮২টি চা বাগান আছে। এরমধ্যে বন্ধ চা বাগানই আছে ন’টি। চা শ্রমিক সংগঠন ও শ্রম দপ্তর সূত্রে খবর, ন’টি বন্ধ চা বাগানে শ্রমিক সংখ্যা কম করেও প্রায় ১০ হাজারের কাছাকাছি। জেলায় ছোট ও রুগ্ন চা বাগানেরও সংখ্যাও কম নয়। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে মোট ১১ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৩৪টি ভোটের মধ্যে ৪৪ শতাংশ ভোট বাগানে।
বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের মতো খোলা চা বাগানেরও হাজার হাজার শ্রমিক পেট চালাতে হরিয়ানা, দিল্লি, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে চলে গিয়েছে। মালিকপক্ষের নথিভুক্ত শ্রমিক সংখ্যার বাইরেও কিন্তু চা বাগানগুলির শ্রমিকদের পরিবারে হাজার হাজার বেকার ছেলে আছে। যারা বাগানে কাজ না পেয়ে রুটি রুজির তাগিদে ভিনরাজ্যে চলে গিয়েছে।
চা শ্রমিক সংগঠনগুলি সূত্রেই জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অধীন ভিনরাজ্যে চলে যাওয়া শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ৩৩ শতাংশের কাছাকাছি। সঙ্গত কারণেই ভিনরাজ্যে থাকা এই বিরাট সংখ্যাক ভোট ব্যাংকে থাবা বসাতে তৃণমূল, বিজেপি ও বামফ্রন্ট সব দলই মরিয়া হয়ে ঝাঁপাচ্ছে।
বিজেপি’র মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা বলেন, ভোটের জন্য আমরা ভিনরাজ্যের থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে ট্রেনের টিকিটের টোপ দিচ্ছি না। তাদের আত্মীয় পরিজনদের কাছে আমরা শুধু এটাই অনুরোধ করছি ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকরা যেন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট না করেন।
চা বাগান তৃণমূল মজদূর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, প্রতিটি চা বাগানে আমাদের সংগঠনের ইউনিট নেতৃত্বকে ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে ভোট দিতে পারেন। আমরা শ্রমিকদের যাতায়াত খরচ বা ট্রেনের টিকিটের টোপ দিচ্ছি না।
আরএসপি’র জেলা সম্পাদক সুনীল বণিক অভিযোগ করেন, দু’একটি রাজনৈতিক দল ভোটের জন্য ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার যাতায়াতের খাওয়া খরচ ও ট্রেনের টিকিটের টোপ দিচ্ছে। আমাদের দল ওই ধরনের রাজনীতি করে না।