শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ, ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
ফালাকাটার বাসিন্দা সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, শুধু পৃথক জেলা করলেই প্রশাসনিক কাজের সুবিধা হয় না। তার জন্য প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে জেলায় একাধিক মহকুমা বা ব্লক গঠন খুবই জরুরি। সেজন্য ফালাকাটাকে পৃথক মহকুমা করার দাবিটিকে আমরা লোকসভা ভোটের প্রচারে অন্যতম ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, বামেরা ৩৪ বছর রাজ্যপাটে ছিল। তখন এবং বর্তমান তৃণমূল সরকারের আমলেও ফালাকাটা ও জয়গাঁ যেমন পুরসভা হয়নি, তেমনি জেলা হওয়ার পর জেলায় মহকুমা বা ব্লকের সংখ্যা বাড়েনি। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা ক্ষমতায় এলে ফালাকাটাকে মহকুমা করা হবে। লোকসভা ভোটের প্রচারে আমরা ফালাকাটা বিধানসভার বাসিন্দাদের মধ্যে সেকথাই প্রচার করব। তৃণমূল কংগ্রেসের ফালাকাটা ব্লক কার্যকরী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ বর্মন বলেন, রাজ্যের নির্দেশে ফালাকাটা ও বীরপাড়াকে মহকুমা গঠনের জন্য দু’বছর আগে জেলা প্রশাসন সর্বদলীয় বৈঠক করে তার প্রস্তাব রাজ্যে পাঠিয়ে দিয়েছে। বিরোধীরাও তো সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল। ফলে লোকসভা ভোটের প্রচারে বিরোধীদের এই প্রচার ভোঁতা হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলা হওয়ার আগে থেকেই এখানে আলিপুরদুয়ার মহকুমা ছিল। জেলা হওয়ার পর এখনও ওই একটিই মহকুমা রয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, জেলা হওয়ার আগে আলিপুরদুয়ার মহকুমায় ছিল ছ’টি ব্লক। ওই ছ’টি ব্লক হল আলিপুরদুয়ার-১, ২, কুমারগ্রাম, কালচিনি, ফালাকাটা ও মাদারিহাট। জেলা হওয়ার পর মহকুমার মতো ব্লকের সংখ্যাও আর বাড়েনি। তাই জেলা হওয়ার পর প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে মহকুমা বাড়ানোর পাশাপাশি ছ’টি ব্লক ভেঙে জেলায় একাধিক ব্লক গঠনের দাবিতে সোচ্চার হয়। সেই দাবিকে মান্যতা দিতে রাজ্যের নির্দেশে দু’বছর আগে জেলা প্রশাসন সর্বদলীয় বৈঠক করে রাজ্যে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু সেই প্রস্তাব ঠান্ডা ঘরে চলে যাওয়ায় ফালাকাটা আর নতুন মহকুমা হয়নি। এবার বিরোধীরা ভোটের প্রচারে আরও একবার ফালাকাটাকে মহকুমা করার দাবিকে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।