কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
নতুন জনপ্রতিনিধিদের সাংসদ হিসেবে শপথ, স্পিকার নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির অভিভাষণ, তার ওপর ধন্যবাদজ্ঞাপন। সোমবার থেকে শুরু হতে চলা সংসদের অধিবেশনে আগামী ৩ জুলাই পর্যন্ত সরকারের এজেন্ডা এটাই। যদিও প্রথমদিন থেকেই এনডিএ সরকারকে চেপে ধরতে বিরোধীরা তৈরি হচ্ছে। নিট-নেটের প্রশ্ন ফাঁস ছাড়াও তালিকায় রয়েছে তিন ফৌজদারি আইনের মতো বিষয়ও।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হতে চলেছে তিন ফৌজদারি আইন। দ্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, দ্য ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম এবং দ্য ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা। এই তিন বিল নিয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির আলোচনা থেকে শুরু করে দুই সদনে পেশের সময়ও প্রবল বিরোধিতা হয়েছিল। দুই সভামিলিয়ে ১৪৬ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটিতে কংগ্রেসের পি চিদম্বরম, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডিএমকে’র এন আর ইলানগো বিলের বিরোধিতায় ‘ডিসেন্ট নোট’ দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও পেশ হয়েছিল বিল। বিল যাতে সেই সময় পাশ না হয়, তার জন্য দু’বার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, নতুন বিল, নতুন সাংসদরাই ঠিক করুক। কিন্তু সে কথা গ্রাহ্য না করে গায়ের জোরে তিন বিল সংসদে পাশ করিয়েছিলেন মোদি। তাই এখন ফের সেই ইস্যু তুলে নতুন আইন আটকাতে চাইছে তৃণমূল।
আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। নতুন ফৌজদারি আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব রাজ্যেই। অথচ অধিকাংশ রাজ্যই এ ব্যাপারে তৈরি নয় বলেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা। বলেছেন, আরও সময় দেওয়া হোক। গত ১৬ জুন কলকাতায় আইন মন্ত্রক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করলেও রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। তাই আপাতত আইন কার্যকরের সময় পিছিয়ে দেওয়া হোক বলেই দাবি মমতার। - ফাইল চিত্র