অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
প্র: আদিবাসীরা বলছেন উন্নয়ন হয়েছে শুধু খাতায় কলমে। আপনি কী বলবেন?
উ: বাজে কথা! এটা বিরোধীরা প্রচার করছে। এই আমলে প্রচুর কাজ হয়েছে। আদিবাসী ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৩৬ হাজার মডেল স্কুল হয়েছে। ৩০ লক্ষ পড়ুয়া স্কলারশিপ পাচ্ছে। খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের বরাদ্দ অনেকগুণ বেড়েছে। (একটু হেসে) খাতায় কলমে উন্নয়ন তো কংগ্রেস আমলে হতো। মোদির আমলে পাঁচ লক্ষ মহিলা কাজ পেয়েছেন। এখন সব টাকা সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়।
প্র: বিগত পাঁচ বছর ধরে আপনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? তবুও দারিদ্রে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে ঝাড়খণ্ড। এমনটা কেন?
উ: এক্ষেত্রে কেন্দ্রের কিছু করার নেই। কেন্দ্র নীতি ঠিক করে দেয়। তা কার্যকারী করার দায়িত্ব রাজ্যের। এটা রাজ্যের গাফিলতি।
প্র: এটা যখন বলছেন, তখন হেমন্ত সোরেনের প্রসঙ্গও আসে। ওঁর গ্রেপ্তারি ব্যুমেরাং হবে না তো?
উ: (বিরক্ত গলায়) কেন হবে? কোনওদিন শুনেছেন মানুষ দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে? (একটু ভেবে নিয়ে) সবাই পরিষ্কার দেখেছে ওঁর বাড়ি থেকে কত কত টাকা পাওয়া গিয়েছে। তারপরেও ভোট দেবে?
প্র: কৃষক আন্দোলন কতটা প্রভাব ফেলবে এবারের নির্বাচনে?
উ: আমরা দেশের কৃষকদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে সেভাবেই কাজ করেছে মোদিজির সরকার। কৃষকদের পাশে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। ওরা শুধু যেন বিরোধীদের কথায় না চলে...!
প্র: রাজনৈতিক মহলের দাবি ঝাড়খণ্ডে বিজেপি এবার পাঁচের বেশি আসন পাবে না। আপনার কী মত?
উ: দেশে বিজেপি থাকবে। এখানেও বিজেপিই থাকবে। গতবার ১৪টা আসনের মধ্যে ১১টা পেয়েছিলাম। এবারের ফল তাঁর থেকে ভালো হবে।
প্র: কুরমি সম্প্রদায়ের মানুষের তফসিলি উপজাতি তালিকভুক্ত হওয়ার দাবি এখনও নিষ্ফলা। এতে বিজেপির ভোট কমবে না?
উ: এই মুহূর্তে এবিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। এটা রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না।
প্র: গতবারে আপনি জিতেছিলেন মাত্র ১৪৪৫ ভোটে? এবারও প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের কালিচরণ মুন্ডা। জিততে পারবেন? মার্জিন বাড়বে?
উ: আমরা একেবারে তৃণমূল স্তরের মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করি। ফলে জেতাটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। মার্জিনটা ৪ জুন নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করবে।
প্রশ্ন: অনেকেই বলছেন, ঝাড়খণ্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর মেরুকরণের চেষ্টায় ক্ষুব্ধ। আদিবাসী খ্রিস্টানরাও মুখ ঘুরিয়েছে। কী বলবেন?
উ: মুসলিম ভাইরা আমাদের সঙ্গেই জুড়ে রয়েছে। আর আদিবাসী খ্রিস্টানদের ব্যাপারে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে বিরোধীরা। মোদিজি সব সম্প্রদায়কে নিয়ে চলতে চান।