বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
আবহাওয়া অফিস অবশ্য ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও ভোগান্তি কমেনি। কলকাতায় সকাল ১১টার পর বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। পরে ঝোড়ো হাওয়া। কোথাও মুষলধারে বৃষ্টি। দুপুরে সন্ধ্যার মত অন্ধকার ঘনায় বহু জায়গায়। শহরের একাধিক অঞ্চলে জল জমে যায়। কসবা, ঢাকুরিয়া গড়িয়াহাট সহ আরও কয়েকটি এলাকায় জল জমে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে রাস্তায় বেরিয়ে প্রায় স্নান করার উপক্রম হয় সবার। ছাতায় বাগ মানেনি বৃষ্টি। বেশি বৃষ্টিপাত বেহালা এবং মানিকতলায়। এর পাশাপাশি কলকাতা ছাড়িয়ে দুর্যোগের কবলে পড়েছে শহরতলি ও জেলাও।
বারুইপুরে সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি। ১৭টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গা বৃষ্টিতে জলমগ্ন। ১০ ও ১১ নম্বর গোলপুকুর মণ্ডলপাড়ায় জল সরবরাহের জন্য রাস্তা খোঁড়া হয়েছিল। সেখানে জল জমে গোটা রাস্তা চলাচলের অযোগ্য। ঘটেছে দুর্ঘটনাও। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ধনেখালি ও হরিপালের কিছু এলাকা। হুগলিতে এগারোটার পর বৃষ্টি শুরু হয়। জেলায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ধনেখালির চৌতারা, নিশ্চিন্তপুর, হবিবপুর, জামদারা ইত্যাদি এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে আলু ও অন্যান্য ফসল ক্ষতিগ্রস্ত। শিলাবৃষ্টির ফলে নষ্ট আলু গাছ। মাঠে জল জমে গিয়েছে। পাম্প চালিয়ে জল বের করার কাজ করছেন চাষিরা। ধনেখালি দশঘড়া স্টেশন বাজার এলাকার হাজামপাড়া গ্রামের ১২২ নম্বর অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের অ্যাসবেস্টসের চাল ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। তারকেশ্বর সহ একাধিক রাস্তায় ভর দুপুরে আলো জ্বালাতে হয়েছে। একইসঙ্গে বৃষ্টির দাপট ছিল মহেশতলা থেকে পুজালী ও বজবজে। কয়েকটি এলাকায় ঘোর বর্ষণে জল জমে যায়।
এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বুধবারের মিনিট চারেকের মিনি টর্পেডোতে তছনছ হয়ে যাওয়া গাইঘাটার রামনগরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে চাষের কাজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত সর্ষে চাষ। পাশাপাশি ক্ষতি ফুল চাষেও। ধানেরও একই হাল। বৃহস্পতিবারও বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া শুরু হয়। অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি। দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে পথচলতি মানুষকে।