বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার ... বিশদ
উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। আগে এই কমিটিতে ৫ জন সদস্য রাখা হতো। আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রতিনিধি, রাজ্যের প্রতিনিধিরাও থাকতেন। সেটাই বলবৎ আছে রাজ্যে। কিন্তু ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশনের ২০২৫ সালের খসড়া প্রস্তাবে উপাচার্য খোঁজার সার্চ কমিটিতে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি নেই বলে সরব হয়েছে তৃণমূল। এই সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে একটি প্রস্তাব আনে রাজ্যের সরকার পক্ষ। সেখানে ইউজিসি’র খসড়া প্রস্তাবের নিন্দা করা হয়। এই প্রস্তাবের উপর এদিন বিধানসভার অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে। তাতে বিজেপির কোনও সদস্য অংশ নেননি। তৃণমূল বিধায়ক তরুণকান্তি মাইতি ও রফিকুল ইসলাম মণ্ডল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু চড়া সুরে আক্রমণ করেন কেন্দ্রকে। ব্রাত্য বলেছেন, ইউজিসির ২০১৮ সালের যে রেজিলিউশন ছিল, তা ২০২৫ সালের খসড়ায় পাল্টাচ্ছে। ৬টি রাজ্য প্রতিবাদ করেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি রাজ্যের উপর চাপাতে চাইছে। বেশ কিছু আপত্তিজনক বিষয় রয়েছে। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ও পরামর্শক্রমে বিধানসভায় সব সদস্যের সম্মতিতে একটি প্রস্তাব পাস করালাম। আমাদের মূল আপত্তি উপচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্চ কমিটিতে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি না থাকায়। পাশাপাশি ব্রাত্য উল্লেখ করেছেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করছে রাজ্য, পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ, অধ্যাপকদের বেতন সব দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু উপাচার্য কে হবেন, তা ঠিক করে দিচ্ছে কেন্দ্র। উপাচার্য খোঁজার ক্ষেত্রে নতুন কমিটিতে তিনজনের মধ্যে কেন্দ্রের দু’জন প্রতিনিধি। ফলে কেন্দ্রের আচরণ তুঘলকি, ফ্যাসিস্ট, অবৈজ্ঞানিক। শিক্ষায় গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে।