কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শাহাদতের নেটওয়ার্কের জাল গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজেদের মধ্যে চ্যাট করার জন্য যে গ্রুপগুলি তৈরি করেছিল হাবিবুল্লা সেখান থেকে সদস্যদের নাম জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে উঠে আসছে, তারা সাঙ্কেতিক বিভিন্ন নাম ব্যবহার করত। হাবিবুল্লাকে বসিয়ে কোড ওয়ার্ডে থাকা নামগুলি ডিকোড করার সময় হারেজের নামটি উদ্ধার হয়। সংগঠনের আমির তদন্তকারীদের জানায়, নদিয়ার মায়াপুরের বাসিন্দা হারেজ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে শাহাদতের সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর হারেজকে শাহাদতের ক্লোজ গ্রুপে যুক্ত করে সংগঠনের আমির। সংগঠনকে কোথায় কোথায় বাড়ানো দরকার এবং শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুব্ধ করে শাহাদতের যুক্ত করতে হবে, তাই নিয়ে তারা পরিকল্পনা করে। সেইমতো নতুন সদস্য নিয়োগ ও তাদের মগজ ধোলাই করত হারেজ। তাদের কাছে পাঠানো হতো রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন ভিডিও। এরই মাঝে গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, হাবিবুল্লা ধরা পড়ার পর হারেজ পালানোর চেষ্টা করছে। দক্ষিণ ভারতে থাকা সংগঠনের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে সে কথা বলেছে। গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ভিনরাজ্যের ট্রেন ধরতে মঙ্গলবার সকালে সে হাওড়াতে আসবে। সেইমতো সেখানে পৌঁছে ফাঁদ পাতে বেঙ্গল এসটিএফের টিম। হাওড়া স্টেশনে নামামাত্র হারেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তে উঠে আসছে, হারেজ সংগঠনের জন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট থেকে ছেলে জোগাড় করত। জানা যাচ্ছে, তার কাছেও একাধিক ব্যক্তির মেলআইডি এবং পাসওয়ার্ড রয়েছে। এরা কারা, তা জানার চেষ্টা চলছে। হারেজ শেখ যে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত, তা বিশ্বাসই হচ্ছে না মোল্লাপাড়ার বাসিন্দাদের। হারেজে মা হাফিজা বিবি জানিয়েছেন দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতে থাকতেন। হারেজ দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, নামাজ পড়া আর গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোই তার কাজ। দাদু হায়দার শেখ বলেন, হারেজ অসুস্থ। গোরুর খাবারের জন্য ঘাস কেটে আনে আর সারাদিন ঘুমায়। ডাকলেও ভালো করে উত্তর দেয় না। হাবিবুল্লার ক্ষেত্রেও স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছিল, পড়াশোনায় মেধাবী হাবিবুল্লা বাড়ির ছাগল প্রতিপালনে ব্যস্ত থাকত। এর ক্ষেত্রেও গো-পালনই যেন তার একমাত্র কাজ। এভাবেই এলাকাবাসীর কাছে সরল, নিরীহ সেজে থাকাটাই শাহদতের সদস্যদের ‘ইউএসপি’ কি না, খতিয়ে দেখছে এসটিএফ।