কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এতবড় গাছ তো চুপিচুপি কেটে ফেলা সম্ভব নয়। তাহলে কে বা কারা করল এই কাজ? জবাব মেলেনি প্রশাসনের কারও কাছ থেকে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড চত্বর মূলত কেএমডিএর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। স্টেশনের সাবওয়ে দেখভাল সহ ওই চত্বরের পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখভাল করে তারা। এলাকার আবর্জনা সাফাইয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সাহায্য করে হাওড়া পুরসভা। আর আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট রয়েছে হাওড়া পুলিসের হাতে। সব পক্ষই ‘গাছ কাটার বিষয়টি জানা নেই’ বলে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। কেএমডিএর এক কর্তা বলেন, ‘আমরা কোনও গাছ কাটিনি। পুরসভা কেটেছে কি না, বলতে পারব না। আমরা ওই গাছ কাটার অনুমতিও কাউকে দিইনি। আমাদের সেই ক্ষমতাও নেই।’ হাওড়া ট্রাফিক পুলিসের একটি সূত্র বলছে, গাছটির কয়েকটি ডাল রাস্তার দিকে ঝুঁকেছিল। বাস আসা-যাওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সেই ডালগুলি ছেঁটে ফেললেই সমস্যা মিটে যেত। কিন্তু পুরো গাছ কে কেটে ফেলল, তা তাদেরও জানা নেই। হাওড়া পুরসভারও একই সুর! এক পুরকর্তা বলেন, ‘ওই জায়গা তো কেএমডিএ দেখভাল করে। পুরসভা সেখানে গাছ কাটতে যাবে কেন?’ ডিআরএম সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘রেলের নিজস্ব এলাকার অনেকটা বাইরে ওই জায়গা। তাই আমাদের তরফে গাছটি কাটার প্রশ্নই ওঠে না।’
প্রশাসনের এই দায় ঠেলাঠেলির মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি স্থানীয় দখলদারদের মধ্যে কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রাচীন বটগাছটি কেটেছে? নিত্যযাত্রীরা বলছেন, এমনটা কেউ করার সাহস পাবে বলে মনে হয় না। এই অবস্থায় প্রশাসন অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেই ক্ষান্ত থাকে, নাকি তদন্ত করে বৃক্ষ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখার। পরিবেশপ্রেমীদের অবশ্য আক্ষেপ, সরকার কবে আর গাছ কাটা নিয়ে কড়া হয়েছে!