মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
দিল্লির রামলীলা ময়দানে হবে কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই মতো প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের তালিকা নিয়েও চরম কৌতূহল তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার যাবতীয় কৌতূহল মিটিয়ে আপ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছে, অন্য কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আপের দিল্লি ইউনিটের আহ্বায়ক গোপাল রাই এদিন বলেছেন, ‘দিল্লির আম-জনতাকে সঙ্গে নিয়েই তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেবেন কেজরিওয়াল। কারণ, তাঁর নেতৃত্বের উপরই অগাধ আস্থা রেখেছেন দিল্লিবাসী।’ কেজরিওয়াল মন্ত্রিসভার ‘সেকেন্ড ম্যান’ বলে পরিচিত সেই মণীশ সিশোদিয়াও গতকাল বলেছিলেন, ‘কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দিল্লির সকল মানুষকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। দিল্লি বিজয়ের দিনই সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেজরিওয়াল নিজেই।’ এদিকে, এদিনই কেজরিওয়ালকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান প্রখ্যাত গীতিকার জাভেদ আখতার। পরে এক ট্যুইটবার্তায় আখতারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
এবারের দিল্লি ভোট বিভিন্ন কারণে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সিএএ, এনআরসি বিরোধী কড়া প্রতিবাদের আঁচ লেগেছিল রাজধানীতে। তৈরি হয়েছিল শাহিনবাগের প্রতিবাদ মঞ্চ। সেই শাহিনবাগকে সামনে রেখে মেরুকরণের রাজনীতির ধার বাড়িয়ে চলেছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। অসামান্য সাফল্য পান কেজরিওয়াল। তাঁর এই সাফল্যের মধ্যেই জাতীয় রাজনীতিতে নানা সমীকরণের হিসেব-নিকেষ করতে শুরু করেছিলেন অনেকেই। কেজরিওয়ালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে পাখির চোখ করে বিজেপি-বিরোধী জোট মহড়া নিয়েও জল্পনার পারদ চড়ছিল রাজনৈতিক মহলে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিন রাজনীতির অনেক তাবড় নেতাদেরও বলতে শোনা গিয়েছিল, এবার বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিতে বিরোধীদের জোট বাঁধার মোক্ষম সময় এসেছে। কিন্তু সব জল্পনাকে উড়িয়ে খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে দিল্লির বাইরে বের করলেন না কিছুতেই। তা নিয়েও নতুন সমীকরণ কষতে শুরু করেছেন রাজনীতির কারবারিরা।